প্রতিবাদী কৃষকদের জন্য সমর্থন আসছে নানা মহল থেকে। কিছু লোকজন, এনজিও যেমন নিজস্ব উদ্যোগে তাঁদের জন্য লঙ্গরখানা খুলেছেন, নিত্য়প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী সরবরাহ করছেন, অন্যরা আবার ফ্রি মেডিকেল ক্য়াম্প বসিয়েছেন। কেউ স্বেচ্ছায় থালাবাসন মেজে দিচ্ছেন, ময়লা সাফ করছেন, মোবাইল ফোনে চার্জের ব্যবস্থা করছেন, জামাকাপড়ও কেচে দিচ্ছেন।
গত প্রায় দুসপ্তাহ ধরে কৃষকরা দিল্লি ঢোকার একাধিক সীমান্ত এলাকা অবরোধ করে রয়েছেন। দাবি কেন্দ্রকে নতুন কৃষি আইনগুলি বাতিল করতে হবে। তাদের বক্তব্য, আইনগুলি কর্পোরেটদের সুবিধা করে দেবে, চিরাচরিত পাইকারি পণ্য বাজার ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) ব্যবস্থার অবসান হবে। কৃষক নেতারা সরকারের নয়া আইন সংশোধনের বুধবারের প্রস্তাব খারিজ করে জানিয়েছেন, আন্দোলন আরও জোরদার হবে।
শাকিল বলেন, বেশিরভাগ চাষিই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন। তবে কিছু লোকের লড়াই চালিয়ে যেতে মদত লাগবে।
নিজের বড় জামাকাপড়ের দোকান খোলার স্বপ্ন আছে শাকিলের। এক প্রতিবাদী কৃষক তাঁর স্টল থেকে শীতবস্ত্র নিয়ে যাওয়ার সময় যখন বলেন, তোমার দোকানটা ছোট হলেও হৃদয় বড়। ঈশ্বরের আশীর্বাদে একদিন তোমার সুদিন আসবে, মাথা নীচু করে নীরবে হাসেন তিনি।
সন্ধ্যা নামতে একদল নিহাং শিখ হাজির শাকিলের দোকান। শীতবস্ত্র চাই, কিন্তু তখন সব শেষ। তাঁদের ভরসা দিয়ে শাকিল বললেন, কাল সকালে সবাই এসো। তোমাদের জন্য জ্যাকেট নিয়ে আসব।