পশ্চিম বর্ধমান: সবে পিতৃগৃহে এসেছেন উমা। তাঁর আগমনীতে মাতোয়ারা গোটা বাংলা। এমন সময়ে ‘ঘরের উমাকেই’ দামোদরে বিসর্জন দিলেন বাবা! পশ্চিম বর্ধমানের কুলটিতে ৩ মেয়েকে দামোদরে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। আটক অভিযুক্ত বাবা। স্থানীয় এক বাসিন্দার তৎপরতায় উদ্ধার এক মেয়ে। নিখোঁজ ২ শিশুকন্যা। তাদের খোঁজে নদে তল্লাশি পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্সের।
দেবীপক্ষের মধ্যে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগে স্তম্ভিত পশ্চিম বর্ধমানের কুলটির চিনাকুড়ি ২ নম্বর এলাকার বাসিন্দারা। অভিযুক্ত বাবা মিথিলেশ ঠাকুরকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এলাকায় যেখানে সিভিল ডিফেন্সের লোকজন আছে, সেই রাস্তা ধরেই নদে নামিয়ে এনে ৩ শিশুকন্যাকে নিয়ে যায় মিথিলেশ। পাথর-চূড়ার ওপারে গভীর জলে তাদের ফেলে দেয় সে। সেটি দেখতে পান ওয়াটার রিজার্ভঅয়্যারের এক কর্মী। তিনি জলে ঝাঁপ দিয়ে উদ্ধার করেন বড় মেয়েটিকে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় এই ঘটনা ঘটে। কুলটির নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্সের লোকজন গিয়ে তল্লাশিতে নামে। বাকি দুটি মেয়ের খোঁজে নেমেছে সিভিল ডিফেন্সের লোকজন। মনে করা হচ্ছে ২টি শিশুকন্যা নদের স্রোতে ভেসে গেছে ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত মিথিলেশ ঠাকুরের দু’টি বিয়ে। প্রথম পক্ষের এক মেয়ে, এক ছেলে। দ্বিতীয় পক্ষের ৩ কন্যা। কী কারণে এমন কাণ্ড ঘটাল মিথিলেশ? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।