ওয়াশিংটন ডিসি: 'বৃথাই' সব তোলপাড়! সংবাদসংস্থা এএফপি জানাল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেলাওয়ারের (US President Joe Biden) বাড়ি থেকে কোনও গোপন দলিল বা নথি পায়নি এফবিআই (FBI Does Not find Any Secret Document)। বাইডেনের আইনজীবীকে উদ্ধৃত করে এমনই দাবি ওই সংবাদসংস্থার। গত বেশ কিছু সময় ধরে গোপন দলিল বিতর্কে তীব্র শোরগোল চলছে মার্কিন মুলুকে।


যা জানা গেল...
মার্কিন সময় অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার বাইডেনের ডেলাওয়ারের বাড়িতে তল্লাশি শুরু হয়। অন্তত এএফপি-কে তেমনই জানান তাঁর অ্যাটর্নি। অভিযোগ ছিল, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে সৈকতের উপর নিজের বাসভবনে বেশ কিছু 'ক্লাসিফায়েড' নথি লুকিয়ে রেখেছেন বাইডেন। এএফপি-র রিপোর্টে তাঁর আইনজীবীকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়, মঙ্গলবারের তল্লাশি পুরোপুরি প্রেসিডেন্টের সহযোগিতাতেই হয়েছে। এর আগে বাইডেনের উইলমিংটনের বাড়ি  ও ওয়াশিংটনে তাঁর প্রাক্তন দফতর চত্বরে তল্লাশি চালিয়ে এমন কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে যেগুলির গোপনীয়তা মাঝারি মানের। এর পরই তাঁর ডেলাওয়ারের বাড়িতে তল্লাশির দাবিতে শোরগোল পড়ে যায়। অভিযোগ ওঠে, তবে কি যখন তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সেনেটর ছিলেন তখন আরও অনেক গোপনীয় নথিই সরিয়ে ছিলেন? একাংশের দাবি, তীব্র বিতর্কের মুখে বিচারবিভাগের সঙ্গে সহযোগিতার রাস্তাতেই হাঁটেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নিজের উদ্যোগেই ডেলাওয়ারের বাড়িতে তল্লাশির ব্য়বস্থা করে দেন।


যেখান থেকে বিতর্ক...
গত ২ ডিসেম্বর পেন বাইডেন সেন্টারের একটি দফতর বন্ধ করতে গিয়ে বেশ কিছু গোপনীয় নথির খোঁজ পান মার্কিন প্রেসিডেন্টের আইনজীবীরা। এর পর তাঁর উইলমিংটনের বাড়ি থেকেও এমন কিছু নথি উদ্ধার হয় বলে খবর। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তৎপর হয় এফবিআই। নভেম্বরে পেন বাইডেন সেন্টারে তল্লাশি চালায় তারা। পরে প্রেসিডেন্টের আইনজীবী বব বিউয়ার বলেন, 'প্রক্রিয়াগত সাবধানতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বিচারবিভাগ আগে থেকে কোনও সরকারি নোটিস না দিয়ে কাজ করার আর্জি জানিয়েছিল। আমরা তাতে রাজি হই।' বুধবার সেই প্রক্রিয়ারই আরও একটি ধাপ পেরোল। বিউয়ারের কথায়, 'আমরা ভবিষ্য়তেও বিচারবিভাগের কাজের সঙ্গে পুরোপুরি সহযোগিতা করব।' তাঁর আশা, তল্লাশি অভিযান শেষ হয়ে গেলে সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য় পাওয়া যাবে। কিন্তু বুধবারের তল্লাশিতে আদৌ কোনও নতুন কিছু জানা গেল কিনা, সে ব্যাপারে মুখে কুলুপ এফবিআইয়ের। এখনও কিছু বলেনি মার্কিন বিচারবিভাগও। যতটুকু যা শোনা গিয়েছে, সবটাই প্রেসিডেন্টের আইনজীবীর তরফে। তার সত্যাসত্য় নিয়ে সন্দেহ রয়েছে মার্কিন প্রশাসনেই।


আরও পড়ুন:বাজেট দরিদ্র-বিরোধী! একযোগে সরব বিরোধীরা