নয়াদিল্লি: তাঁর নেতৃত্বে শক্তিশালী হয় ভারতের নারী আন্দোলন। ফেমিনিস্ট হিসাবেই তাঁকে চেনে দেশবাসী। যদিও নারীবাদী আন্দোলনকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি একাধারে সমাজকর্মী, লেখিকা ছিলেন তিনি। শনিবার ভোর রাতে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন কমলা ভাসিন।
বিশিষ্ট সমাজকর্মীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন অ্যাকটিভিস্ট কবিতা শ্রীবাস্তব। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, ''আমাদের প্রিয় বন্ধু কমলা ভাসিন আর নেই। শনিবার রাত ৩টের সময় প্রয়াত হয়েছেন তিনি। এই ঘটনা ভারত ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নারী আন্দোলনের জন্য একটা বড় ধাক্কা।'' এই বলেই অবশ্য থাকেননি কবিতা। ভাসিনের সঙ্গে কাটানো সময়ের স্মৃতি হাতরে ট্যুইটেই তুলে ধরেছেন প্রিয় মানুষের জীবনযাপন। তাঁর মতে, হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যে জীবন উদযাপনের আরেক নাম ছিলেন ভাসিন। তাই কমলা সবসময় হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।
দেশের ইতিহাস বলছে, ১৯৭০ সাল থেকে ভারত তথা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম নারী অধিকার রক্ষা আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন কমলা ভাসিন।২০০২ সালে নিজের নারীবাদী আন্দোলনের বীজ বপন করেন তিনি।যার নাম দেন ‘Sangat’ সঙ্গত।অবহেলিত উপজাতি ও প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলাদের নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। বহু ক্ষেত্রেই ওই মহিলাদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে ভাষা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় কমলাকে। সেই কারণে নারী অধিকার সম্পর্কে মহিলাদের সচেতন করতে নাটক, গান ও ছবি আঁকার ভাষা বেছে নেন তিনি।
তৎকালীন সমাজের ভোল বদল চেয়েছিলেন ভাসিন। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ বদলাতে জেন্ডার থিওরি, নারীবাদ ও পিতৃতন্ত্র নিয়ে একাধিক বই লিখেছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে ভাসিনের সেই বই ৩০টিরও বেশি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিল তিল করে গড়ে তোলা চিন্তাধারা আজ রূপ পেয়েছে। জনমনে ছাপ ফেলেছে ভাসিনের ভাবনা। যদিও প্রিয়জনদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন ভাসিন।