দোহা: মরক্কোর বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের (FIFA WC 2022) কোয়ার্টার ফাইনালে পরাজিত হয়েই পর্তুগালের এবারের বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়েছে। মরক্কোর বিরুদ্ধে হেরে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন পর্তুগিজ কিংবদন্তি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo)। অনেকেই মনে করছেন এটাই ৩৭ বছর বয়সি রোনাল্ডোর শেষ বিশ্বকাপ। এবার নিজের ভবিষ্যৎ জল্পনা-কল্পনা, পর্তুগালের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া ইত্যাদি নানান বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন রোনাল্ডো নিজেই।


মুখ খুললেন রোনাল্ডো


নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে রোনাল্ডো লেখেন, 'পর্তুগালের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা আমার কে রিয়ারের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল। সৌভাগ্যবশত আমি আন্তর্জাতিক স্তরে বহু খেতাব জেতার পাশাপাশি পর্তুগালের হয়েও ট্রফি জিতেছি। গোটা বিশ্বে আমার দেশের মুখ উজ্জ্বল করাটাই আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। আমি এই স্বপ্ন সত্যি করার জন্য প্রচুর খেটেছি। ১৬ বছরের ধরে আমি পাঁচটি বিশ্বকাপে মহান খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাঁধ কাঁধ মিলিয়ে পর্তুগালের হয়ে লড়েছি। সবসময় পর্তুগিজরা আমায় সমর্থন করেছে এবং আমিও দেশের হয়ে আমার সবটা উজার করে দিয়েছি। কখনও লড়াই থেকে পিছিয়ে আসিনি। তবে দুর্ভাগ্যবশত বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ায় সেই স্বপ্ন সার্থক হয়নি। এই হতাশার মধ্যে হঠাৎ করেই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।'


বিশ্বকাপ চলাকালীনই রোনাল্ডো এবং পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো স্যান্তোসের মধ্যে মনোমালিন্যের খবর শিরোনাম কেড়েছিল। রোনাল্ডোকে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের আগেই মাঠ থেকে তুলে নেওয়া শুরু হয় ঝামেলা। এরপর শেষ দুই ম্যাচে পর্তুগালের প্রথম একাদশে রোনাল্ডোকে সুযোগ দেননি স্যান্তোস। জল্পনা শোনা গিয়েছিল যে সুযোগ না পেয়ে রোনাল্ডো এতটাই ক্ষুব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন যে তিনি নাকি একসময় বিশ্বকাপের মাঝপথেই পর্তুগাল দল ছেড়ে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন। সেইসব জল্পানারও জবাব দেবেন তিনি।


সমালোচনার জবাব


'আমি শুধু সকলকে জানাতে চাই যে আমার নামে অনেক কিছু বলা হয়েছে, অনেক জল্পনা-কল্পনা হয়েছে, কিন্তু পর্তুগালের প্রতি আমার দায়বদ্ধতায় কোনওদিনও বিন্দুমাত্র টান পড়েনি। বর্তমানে আর এর থেকে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়। ধন্যবাদ পর্তুগাল, ধন্যবাদ কাতার। স্বপ্নটা যতদিন জীবিত ছিল, ততদিন সবটা ভালই ছিল। লোকে যে যাই বলুক এবার সবটা চুপ করে পর্যবেক্ষণ করার সময়।' লেখেন রোনাল্ডো।


আরও পড়ুন: দল হারলেও, রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দেওয়ায় আক্ষেপ নেই পর্তুগিজ কোচের