মুম্বই: ঘূর্ণিঝড় তওতের ধাক্কায় বার্জ ডুবির ঘটনায় ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হল এফআইআর। তওতের তাণ্ডবে বার্জ ৩০৫ মুম্বই উপকূলের কাছে ডুবে যায়। ওই ঘটনায় বার্জের ক্যাপ্টেন রাকেশ বল্লভের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা সত্ত্বেও তিনি নাবিকদের সুরক্ষার জন্য কোনও ব্যবস্থা করেননি। ঘটনার পর থেকেই রাকেশ বেপাত্তা।

  


৩০৪ (২), ৩৩৮ এবং ৩৪ ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। মুস্তাফিজুর রহমান শেখ নামে এক ইঞ্জিনিয়ার এই এফআইআর দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা সত্ত্বেও তিনি নাবিকদের সুরক্ষার জন্য কোনও ব্যবস্থা করেননি রাকেশ বল্লভ। আর তার জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, রাকেশ ছাড়াও আরও বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।


কেরল, কর্নাটক, গুজরাত সহ মহারাষ্ট্রে তাণ্ডব চালিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় তওতের ধাক্কায় মুম্বই উপকূলের কাছে ডুবে যায় একটি বার্জ।  'পি ৩০৫' নামের ওই বার্জে ২৭৩ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৪৬ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।  এখনও ১২৭ জনকে উদ্ধার করা যায়নি। উদ্ধারের জন্য নৌবাহিনীর আইএনএস কোচি, আইএনএস কলকাতা সহ ৪টি যুদ্ধজাহাজকে কাজে লাগানো হয়। মুম্বইয়ের নৌসেনা ঘাঁটি থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে একাধিক হেলিকপ্টার। তবে প্রচণ্ড ঝোড়ো হাওয়ার জন্য ব্যাহত হয় উদ্ধারকাজ।


গুজরাতের ৬০ কিলোমিটার দূরে দিউতে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে তওতে। ল্যান্ডফল হওযার পর প্রবল বর্ষণ ও ঝড় হয়। গুজরাতে উদ্ধার ও ত্রাণের কাজে সেনার ১৮০ টি দল মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দুই লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিধ্বংসী ঝড়ের তাণ্ডব মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয় এনডিআরএফেস ৪৪ টি দল। গুজরাতে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সবমিলিয়ে ঝড়ের দাপটে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গোয়াতে ২, কেরলে ২,কর্ণাটকে ৪, মহারাষ্ট্রে ৬ ও গুজরাতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।