পটনা: প্রশান্ত কিশোরের ‘বাত বিহার কী’ প্রচার কর্মসূচি ঘিরে বিতর্ক। ভোটকুশলী প্রশান্ত সম্প্রতি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরোধিতা করে নীতীশকুমারের দল জেডি (ইউ) থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। এবার তাঁর বিরুদ্ধে টুকলি, অন্য কারও আইডিয়া চুরির অভিযোগে এফআইআর দায়ের হল। পাটলিপুত্র থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৪২০ ( প্রতারণা ও অসদুদ্দেশ্যে কনটেন্ট ব্যবহার) এবং ৪০৬ (ফৌজদারি বিশ্বাস ভঙ্গের জন্য সাজা) ধারায় এফআইআর রুজু করেছেন জনৈক শাশ্বত গৌতম।
তিনিও বাত বিহার কী-র মতো একই প্রজেক্ট নিয়ে আগে থেকেই কাজ করছেন বলে গৌতম তাঁর অভিযোগনামায় দাবি করেছেন। জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে কোনও এক সময় প্রজেক্টটি শুরু হওয়ার কথা।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক হাল সামলে স্ট্র্যাটেজি ঠিক করার ভার পেয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।
এসএইচও কমলেশ্বর সিংহ জানিয়েছেন, বুধবার রাতে পাটলিপুত্র থানায় জমা পড়া অভিযোগনামা অনুসারে শাশ্বত গৌতমের তৈরি কনটেন্ট ব্যবহার করেছেন প্রশান্ত।
ঘটনাচক্রে গৌতম কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ডেটা অ্যানালিটিক্স কোঅর্ডিনেটর ছিলেন। আবার পটনার থিঙ্কট্যাঙ্ক সংস্থা এডিআরআইয়ের সঙ্গেও একসময় ছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের উপদেষ্টা হিসাবেও কাজ করেছেন।
প্রশান্ত ছাড়া ওসামা নামে আরেকজনের বিরুদ্ধেও এফআইআর রুজু করেছেন গৌতম। ওসামা তাঁর সঙ্গে ‘বিহার কী বাত’ প্রজেক্টে কাজ করতেন, পরে কাজ ছেড়ে দেন বলে জানিয়েছেন গৌতম। ওসামা চাকরি ছাড়ার পর প্রশান্তকে নিজের কাছে থাকা কনটেন্ট সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ গৌতমের।
সম্প্রতি ‘বাত বিহার কী’ কর্মসূচিতে কিশোর বিহারকে দেশের সেরা ১০টি রাজ্যের মধ্যে তুলে নিয়ে যাবেন বলে দাবি করেন। দল থেকে বহিষ্কারের পর বলেন, ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে অনেক কিছুই করেছেন নীতীশকুমার, কিন্তু উন্নয়নের মাপকাঠিতে দেশের অনেক রাজ্য থেকেই অনেক পিছিয়ে রয়েছে বিহার।