ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা:  কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এসএসবি বিল্ডিংয়ে করোনা ওয়ার্ডে আজ সকালে আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়ায়।  দমকলের প্রাথমিক অনুমান, অক্সিজেনের পাইপ লাইনে কোনও বিভ্রাটের কারণে আগুন লাগে।  দমকলের ৩টি ইঞ্জিন কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কয়েকজন করোনা রোগী সেই ওয়ার্ডে ছিলেন।  তবে হাসপাতাল সূত্রে দাবি, রোগীরা নিরাপদেই রয়েছেন।


দমকল সূত্রে খবর, বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ আগুন লাগে করোনা ওয়ার্ডে। হাসপাতালের চার তলায় একটি প্লাগ পয়েন্টে প্রথমে আগুনের ফুলকি দেখতে পান কর্মীরা। ব্যবস্থা নেওয়ার আগে মুহূর্তেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে হাসপাতালের কর্মীরাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান ৷ এরপর খবর যায় দমকলে ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ৷ করোনা ওয়ার্ডে আগুন লাগায় রোগীদের মধ্যে স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ৷ অক্সিজেন অপারেট করার মেশিন থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে অনুমান। মেশিনটি অস্বাভাবিক গরম হয়ে যায় ৷ সেখান থেকে শর্টসার্কিট হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ৷


বুধবার ভোরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা বিল্ডিং থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন স্থানীয়রা। মুহূর্তে হুলস্থূল পড়ে যায় গোটা হাসপাতাল চত্বরে। আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন অনেকে। এরই মধ্যে খবর পৌঁছে যায় দমকলের কাছে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে যায় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। হাসপাতালে পৌঁছে যায় বউবাজার থানার পুলিশ। এদিকে, হাসপাতালে আগুন লাগার খবর পেয়েই জোরদার তৎপরতা শুরু করে দেয় কর্তৃপক্ষ। রোগীদের এক ওয়ার্ড থেকে অন্যত্র নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয়। স্ট্র্যান্ড রোডে রেলের বিল্ডিংয়ে অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি এখনও টাটকা। এরই মধ্যে আবার মেডিক্যাল কলেজে আগুন লাগার ঘটনা ঘটল ৷


এদিকে, নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ে রেলের অফিসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করাবে কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। কীভাবে রেলের ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্য হল ৯ জনের?  
কোন কোন জায়গায় সেদিন ছড়িয়ে পড়ে আগুন?  কতটা দ্রুত আগুন ছড়ায়?  আগুন লাগার খবর পাওয়ার কতক্ষণ পরে সতর্ক করা হয় ?  এ সবই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।