সুদীপ্ত আচার্য, ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়: হেস্টিংসে নির্বাচনী দফতর থেকে শুরু করে হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। অন্য দল থেকে আসা নেতাদের প্রার্থী করা যাবে না, এই দাবিতে বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ অব্যাহত। 


আর প্রার্থী নিয়ে এই অসন্তোষের মধ্যেই, রাজ্য নেতৃত্বকে দিল্লিতে তলব করলেন অমিত শাহ। রবিবার দিল্লি থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ দফার বিধানসভা ভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।


আর প্রার্থীদের নাম শুনে, সেদিন থেকেই কার্যত গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। আন্দোলনের রেশ পৌঁছয় কলকাতার হেস্টিংসে। বিজেপির নির্বাচনী অফিসে।


দলের অন্দরে কেন বিদ্রোহ? তা জানতে সোমবার রাতেই, সফরসূচিতে বদল ঘটিয়ে কলকাতায় তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন অমিত শাহ। 


 



 


কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেনন, দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, অমিতাভ চক্রবর্তী, অমিত মালব্যের মতো নেতাদের উপস্থিতিতে ম্যারাথন বৈঠক করেন শাহ।


সূত্রের খবর,  বৈঠকে নেতাদের কাছে অমিত শাহ জানতে চান, দল কেন আগাম আঁচ করতে পারেনি যে, কাকে প্রার্থী করলে কারা ক্ষেপে যেতে পারে। 


বৈঠকে রাজ্য় নেতৃত্বের কাছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রশ্ন -- পরিস্থিতি কেন আগে থেকে আঁচ করা যায়নি? প্রার্থী তালিকা তৈরির সময় কেন স্থানীয় নেতৃত্বকে বোঝানো হয়নি? চারদিকে এত ক্ষোভ হচ্ছে, অথচ তা কেন দ্রুত সামাল দেওয়া যাচ্ছে না?


সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ও কথা বলে ক্ষোভ প্রশমনের নির্দেশ দেন অমিত শাহ।   কারা বিক্ষোভ করছে, কার নেতৃত্বে হচ্ছে, সেইসব তথ্যও দিল্লি জানতে চায় বলে সূত্রের খবর।


 



 


প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ অব্যাহত থাকায়, অশনি সঙ্কেত পেয়ে ফের আসরে নামল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, কৈলাস, দিলীপ, মুকুল, অরবিন্দ মেনন, শিবপ্রকাশকে দিল্লিতে তলব করা হয়। প্রার্থী বিক্ষোভ নিয়ে আলোচনার জন্যই তলব বলে সূত্রের খবর।


এদিকে অমিত শাহের রাতভর জরুরি বৈঠক নিয়ে কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীর গলায়। জনগণ দিন তালি, বিজেপির সব চেয়ার খালি। ওনার সভায় লোক হয়নি, তাই বড্ড গোঁসা হয়েছে। রাতভর মিটিং করছেন, কাকে ধরা যায়, কার বাড়িতে সিবিআই পাঠানো যায়। সিন্ডিকেট বাবু ওয়ান আর টু শুনে নিন। 


টিকিট না পেলে, সব দলেই অসন্তোষ। কে, কীভাবে তা সামাল দেয়, সেটাই দেখার।