ইসলামাবাদ: স্বামীর তৃতীয় বিয়ের সময় রুখে দাঁড়ালেন প্রথম স্ত্রী। পাকিস্তানে। বিয়ের মন্ডপে ঢুকে স্বামীকে এমন মারধর করলেন যে, শেষপর্যন্ত পুলিশ ডেকে এনে তাকে উদ্ধার করতে হল।
পাকিস্তানের দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন-এর খবর, করাচির শাখি হাসান চৌরঙ্গী এলাকায় সোমবার রাতে আসিফ রফিকের বিয়ের রিসেপশনে মাদিহা নামে ওই মহিলা, তাঁর আত্মীয়স্বজনরা হাজির হন। তাঁদের দাবি, মাদিহার সঙ্গে ২০১৪য় বিয়ে হয় আসিফের। মাদিহা জানান, আসিফ জিন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী আরেক মহিলাকেও বিয়ে করেন তাঁর সম্মতি না নিয়েই, তিনি দ্বিতীয় বিয়েতে আপত্তি তোলায় প্রতিশ্রুতি দেন, তাঁর সঙ্গেই থাকবেন। কিন্তু তারপরও আবার বিয়ে! সেখানেই অতিথি-অভ্যাগতদের সামনে আসিফকে বেদম মারধর করেন মাদিহা ও অন্যরা। তাঁর জামাকাপড় ছিঁড়ে দেন। সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, খবর পেয়ে পুলিশ এসেও আসিফকে আটক করে মারধর করে থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করায় আসিফকে তাড়া করেন মাদিহার পরিবারের লোকজন। আসিফ প্রাণে বাঁচতে একটি দাঁড়িয়ে থাকা বাসে উঠে গা ঢাকা দেন। কিন্তু সেখানেও ধরা পড়ে মার খান। কিছু লোক তাঁকে উদ্ধার করে।
আসিফের দাবি, মাদিহাকে তিনি আগেই ডিভোর্স দিয়েছেন, তাই ফের বিয়ে করায় তাঁর অনুমতির প্রয়োজনই নেই। আসিফ এও বলেন, একসঙ্গে চারটে বিয়ে করতে পারি। আমার অধিকার আছে।
এদিকে পুলিশ মাদিহা, আসিফকে পরামর্শ দিয়েছে আদালতে যেতে, কেননা এটা দায়রা বিতর্ক। আসিফের মেডিকেল পরীক্ষা করে তাঁকে মারধরের ব্যাপারে পুলিশ মামলা করবে বলে খবর।