কলকাতা: শীত চলে গিয়ে গরম আসছে। বদল হচ্ছে পরিবেশের। এই আবহে দেশজুড়ে দাপট বাড়ছে ফ্লু-এর। প্রচন্ড সর্দি, টানা কাশি, জ্বর- এমন একাধিক উপসর্গ থাকছে। বাংলায় কোপ চলছে অ্যাডিনো ভাইরাসের। তাতে মূলত ঝুঁকি বেশি শিশুদের। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বেশ কিছু শিশুর। যখন বাংলায় এই পরিস্থিতি তখন সারা দেশেই বাড়ছে ফ্লু সংক্রমণের ঘটনা। 


বছর দুয়েক ধরে বারবার কোভিড সংক্রমণের ঢেউ এসেছে ভারতে। সেই সময়ের স্মৃতি সকলেরই রয়েছে। ফলে এখন ফ্লু-এর দাপটের জন্য আতঙ্ক রয়েছে। দেশজুড়ে ফ্লু-এর সংক্রমণের ঘটনা নিয়ে কী বলছে  Indian Council of Medical Research (ICMR)?


ICMR জানাচ্ছে, Influenza A subtype H3N2 virus-এর কারণেই এই সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে।



  • H3N2 virus- উপপ্রজাতির কারণেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। অন্য উপপ্রজাতির সংক্রমণ এতটা মারাত্মক নয়।

  • টানা সর্দি থাকা, তার সঙ্গে জ্বর। অনেকের গায়ে ব্যথা হচ্ছে, গলা ব্যথা হচ্ছে। অনেকসময় দীর্ঘদিন ধরে টানা উপসর্গ থাকছে রোগীর।


এই পরিস্থিতিতে ICMR-এর তরফে একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


কী করতে হবে?



  • নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

  • সর্দি-কাশি থাকলে ভিড় জায়গায় মাস্ক পরতে হবে।

  • হাত পরিষ্কার না থাকলে নাক ও মুখ ছোঁয়া উচিত না।

  • হাঁচি-কাশি হলে মুখ ঢেকে রাখতে হবে।

  • পর্যাপ্ত জল ও পানীয় খেতে হবে।

  • জ্বর এবং তার সঙ্গে কোনও উপসর্গ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, তার আগে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হলেও শুধুমাত্র প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে।   


 



Indian Medical Association (IMA)-এর তরফে অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়েও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ডাক্তারের প্রতি যেমন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তেমনিই দোকানে বিনা প্রেসক্রিপশনে অ্যান্টিবায়োটিক কেনাবেচা না করা নিয়েও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জ্বর হলেও বিনা ডাক্তারি পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে আদতে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে, জানাচ্ছেন ডাক্তাররা। কারণ অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খেলে বা বিনা প্রয়োজনে ওই জাতীয় ওষুধ খেলে যখন প্রয়োজন হবে তখন আর অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করবে না, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। 


আরও পড়ুন: ১ এপ্রিল থেকে সোনা কেনার নিয়মে বড় পরিবর্তন, এখন থেকে এই বিধি মানতেই হবে