কাঠমান্ডু: প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি শর্মার সুপারিশ মেনে রবিবার সংসদ ভেঙে দিলেন নেপালের রাষ্ট্রপতি। গত সপ্তাহে জরুরি বৈঠক ডেকে সংসদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। এদিন সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভান্ডারি। ওই বৈঠকেই সংসদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


২০১৭ সালে ভোট হয়। সংসদের সদস্য ২৭৫ জন। ২০২২ সালে পরবর্তী নির্বাচন। রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভান্ডারি জানিয়েছেন, আগামী বছর ৩০ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত নির্বাচন হবে। নেপালের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার একটি অধ্যাদেশ জারি করেন প্রধানমন্ত্রী। সংবিধান কাউন্সিল আইন সংক্রান্ত অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করা নিয়ে চাপে ছিলেন কে পি ওলি শর্মা। সংবিধান কাউন্সিলের প্রধান কে পি ওলি শর্মা। কাউন্সিলে আছেন প্রধান বিচারপতি, স্পিকার, চেয়ার্পার্সন, বিরোধী দল নেতা, ডেপুটি স্পিকার,

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, জরুরি বৈঠক ডেকে সংসদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিষ্ণু রিজাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন। সংসদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন তিনি। নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মাধব কুমার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব সংবিধান পরিপন্থী। অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করা উচিত। সূত্রের খবর, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবেন মাধব কুমার। সুপ্রিম কোর্টেও দায়ের করা হবে মামলা। সংবাদ সংস্থা অনুযায়ী, সংসদ ভেঙে দেওয়া যায় কি না তা নিয়ে মতভেদ আছে। সংবিধানে সংসদ ভেঙে দেওয়া নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা নেই।