ওয়াশিংটন: হাঙ্গামায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট পাকাপাকি বন্ধ করে দিয়েছে ট্যুইটার। কিন্তু কে এই সিদ্ধান্তের পিছনে? নেপথ্যে? তিনি বিজয়া গাড্ডে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৪৫ বছরের এই মহিলা ট্যুইটারের মুখ্য উপদেষ্টা (আইন)। সংস্থার নীতি, আইন সংক্রান্ত বিষয়ের দায়িত্বে আছেন তিনি। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, @realDonaldTrump পাকাপাকি বন্ধ করে দেওয়া হল। হাঙ্গামায় ইন্ধন দেওয়ার আশঙ্কায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আমরা আমাদের নীতি প্রকাশ করব। আপনারা তা থেকে নিয়ম সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।
ভারতে জন্ম গাড্ডের। বড় হয়েছেন টেক্সাসে। তাঁর বাবা ছিলেন মেক্সিকোর কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। গাড্ডে পরিবার ইস্ট কোস্টে চলে যায়। নিউ জার্সির স্কুলে লেখাপড়া করেন তিনি। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিউ ইয়র্ক আইন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। আইন সংক্রান্ত কাজ নিয়ে নিজেই শুরু করেন স্টার্ট আপ। ২০১১ সালে যোগ দেন ট্যুইটারে।
কর্পোরেট আইনজীবী হিসাবে গত এক দশক ট্যুইটারে কাজ করছেন তিনি। সারা বিশ্বে ট্যুইটারের যে প্রভাব আছে, তার অনেকটাই বিজয়ার কৃতিত্ব। বিশ্ব রাজনীতির উপরও এই প্রভাব আছে। ট্যুইটারের সিইও জ্যাক ডোরসে যখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজয়া। দলাই লামার ভারত সফরের সময় সেই ছবি পোস্ট করেন জ্যাক ডোরসে। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন গাড্ডে। আমেরিকার সংবাদমাধ্যমও বিজয়ার কাজের একাধিকবার প্রশংসা করেছে। তাঁকে সোশাল মিডিয়ার প্রভাবশালী কর্মী বলে ব্যাখ্যা করেছে তারা।
প্রথমে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট @realDonaldTrump বন্ধ করে টুইটার। মাইক্রোব্লগিং সংস্থা জানায়, ট্রাম্পের বক্তব্য থেকে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এরপর অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে উদয় হন ট্রাম্প। @POTUS তথা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করা শুরু করেন তিনি। যেখানে টুইটারের উদ্দেশ্যে তোপ দেগে তিনি বলেন, বহুদিন ধরেই বলে আসছিলাম, টুইটার সংস্থা বাকস্বাধীনতা খর্ব করতে উদ্যত। কিন্তু তাদের জানিয়ে দিতে চাই, তারা সফল হবেন না। আমার গলা থামানো যাবে না। যাবতীয় বক্তব্য আমি জনসমক্ষে পেশ করবই, আপনারা সঙ্গে থাকুন। টুইটার দ্রুত ট্রাম্পের ওই অ্যাকাউন্টটিও চিরতরে বন্ধ করে দেয়।