নয়াদিল্লি: আজ হয়তো অনেকেরই একটা ছবি চোখের সামনে ভাসছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বুকে মাথা রেখে কাঁদছিলেন ইসরোর তৎকালীন চেয়ারম্যান কে শিভন। পিঠ চাপড়ে তাঁকে সান্তনা দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। চন্দ্রযান ২ শেষ মুহূর্তে ব্যর্থ হয়েছিল। সালটা ২০১৯। মাত্র চার বছর পরেই পাল্টে গেল ছবিটা। চন্দ্রযান ৩ সফলভাবে নামল চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। তৈরি করল ইতিহাস। উচ্ছ্বাসে ভাসল গোটা দেশ, আর জোহানেসবার্গ থেকে ইসরোর পি সোমনাথকে ফোন করে অভিনন্দন জানালেন সেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 


এক ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সাফল্য়ের অনবদ্য নজির তৈরি করল চন্দ্রযান ৩। সেই কথাটাই মনে করিয়ে দিলেন ভারতের আর এক বরিষ্ঠ মহাকাশবিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণ। ANI-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, 'আমরা যা অর্জন করেছি তা অবিশ্বাস্য।' চন্দ্রযান ২ -এর যা যা ভুল ছিল সেগুলি ঠিকমতো দেখা হয়েছে এবং ঠিকমতো শুধরে নেওয়া হয়েছে, এমনটাই জানান তিনি। চন্দ্রযান ২-এর যা নেতিবাচক দিক ছিল, সেগুলো ইতিবাচক দিকে রূপান্তরিত করা হয়েছে, এমনটাই জানালেন নাম্বি নারায়ণ।


 






ভারতের অন্যতম প্রবীণ মহাকাশবিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণ ইসরোর ক্রায়োজেনিক বিভাগের বিজ্ঞানী ছিলেন। ১৯৯৪ সালে চরবৃত্তি করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কেরল পুলিশের হেফাজতে থাকার সময় তাঁর উপর শারীরিক ভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। পরে ১৯৯৬ সালে CBI তদন্তে দেখা যায় তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যে ছিল। মুক্তি পান তিনি।


একসঙ্গে একাধিক রেকর্ড তৈরি করল ভারতের ISRO. চন্দ্রযান ৩- (Chandrayaan 3)এর হাত ধরে মহাকাশ বিজ্ঞানে বড়সড় লাফ দিল ভারত। বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের মাটিতে সফলভাবে সফট ল্যান্ডিং (Soft Landing) করল ভারত। নির্দিষ্ট সময়ে চাঁদের মাটি ছুঁল বিক্রম। একদিকে সফল সফট ল্যান্ডিং করে বিশ্বের এলিট স্পেস ক্লাবে (Elite Space Club) যেমন ঢুকে পড়ল ভারত। তার পাশাপাশি তৈরি করল আরও একটি রেকর্ড (Record)। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর (Moon South Pole) কাছে সফল ভাবে সফট ল্যান্ডিং করল ভারতের পাঠানো মহাকাশযান। চাঁদের মাটিতে জলের খোঁজের জন্য এখন এই এলাকাতেই নজর সারা বিশ্বের। ২৩ অগাস্ট, বুধবার সন্ধে ৬টা বেজে ৪ মিনিটে চাঁদের মাটি ছোঁয় ভারতের চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার।


আরও পড়ুন: বিশ্বে প্রথম ভারত! চন্দ্রযান ৩-অভিযানে নয়া পালক ইসরোর মুকুটে