নয়া দিল্লি: আর বেশিদিন নয়, চার টুকরো হওয়ার অপেক্ষায় পাকিস্তান? নিশিকান্ত দুবের পর বিস্ফোরক জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন DGP।
পাকিস্তানে ভাঙন নিয়ে বিস্ফোরক দাবি জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন DGP-র। 'বালুচিস্তানে বিপর্যস্ত পাকিস্তান, পাক সেনার হাল বেহাল। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ হলেই স্বাধীন হয়ে যাবে বালুচিস্তান। সিন্ধ, বালুচিস্তান, খাইবার পাখতুন পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে যাবে।
এর আগে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে হুঙ্কার দিয়েছিলেন, কাশ্মীরের যে অংশ পাকিস্তান দখল করে রেখেছে, আমরা তা পুনরুদ্ধার করব। আর পাকিস্তান ভেঙে বালুচিস্তান, পাখতুনিস্তান, পাঞ্জাবের মতো টুকরো হয়ে যাবে। নরেন্দ্র মোদি এটা নিশ্চিত করবেন। এ বছরের মধ্যে পাকিস্তান ভেঙে টুকরো টুকরো না হলে, তখন বলবেন, বিজেপি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয়।'
বিশেষজ্ঞদের মতে, সামরিক শক্তির নিরিখে ভারতের সামনে ধোপে পাকিস্তান ধোপে টিকতে পারবে না। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে জওয়ানের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৫৫০। উল্টোদিকে পাকিস্তানে সেনা জওয়ানের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৫৪ হাজার। ভারতীয় সেনার হাতে ৪ হাজার ২০১টি ট্যাঙ্ক রয়েছে। পাক সেনার হাতে ট্যাঙ্কের সংখ্যা ২ হাজার ৬২৭, অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক।
ভারতের হাতে যুদ্ধবিমানের সংখ্যা ২ হাজার ২২৯। পাকিস্তানের হাতে রয়েছে ১ হাজার ৩৯৯টি যুদ্ধ বিমান। ভারতের পরমাণু অস্ত্রবহনকারী সাবমেরিন আছে ২টি। পাকিস্তানের একটিও নেই। ভারতের হাতে যেখানে ১৮টা সাবমেরিন রয়েছে, সেখানে পাকিস্তানের হাতে ডুবোজাহাজের সংখ্যা ৮।
এদিকে, পহেলগাঁওয়ের হত্য়াকারী জঙ্গিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা। নারকীয় হামলার প্রত্যাঘাত চাইছে ভারতবাসী। এরইমধ্যে সীমান্তে লাগাতার গুলি চালাচ্ছে পাকিস্তান। যোগ্য় জবাব দিচ্ছে ভারতও। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধের আশঙ্কায় আগেভাগে প্রস্তুত হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের গ্রামগুলো। দু'দেশের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হলে আতঙ্কে থাকেন নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া কুপওয়াড়া, উরি, বারামুলা, রাজৌরির মতো এলাকার বাসিন্দারা। এতদিন বাঙ্কারগুলো গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করলেও, এবার সেগুলো পরিষ্কার করে তৈরি করে রাখছেন গ্রামবাসীরা। গোটা দেশ যখন প্রতিশোধের দাবিতে ফুঁসছে, তখন সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে চলছে প্রস্তুতি!