লাহৌর: বিপত্তি বেড়েই চলেছে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। দেশের গোপন তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে গতকাল তাঁকে ১০ বছরের সাজা শোনায় আদালত। এবার দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের সাজা হল ইমরানের। তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকেও ১৪ বছরের কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে আদালত। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন প্রাপ্ত দামি উপহার সরকারের ঘরে জমা না করার অভিযোগ ছিল ইমরানের বিরুদ্ধে। (Imran Khan)
দুর্নীতি মামলায় বুধবার ইমারন এবং তাঁর স্ত্রীকে ১৪ বছরের সাজা শুনিয়েছে পাক আদালত। ইমরানের দল পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসাফের (PTI) তরফে বিষয়টিতে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। যদিও দেশের বিচারব্যবস্থার দিকেই আঙুল তুলেছে PTI. তাদের বক্তব্য, "বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে আজ কালো দিন। বিচারব্যবস্থার মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে।" (Pakistan News)
একদিন আগেই ১০ বছরের সাজা শোনানো হয়েছে ইমরানকে। আজ ফের ১৪ বছরের সাজা শোনানো হল। একই সঙ্গে ইমরানকে দুই সাজার মেয়াদ পূর্ণ করতে হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয় যদিও। এই মুহূর্তে জেলেউ বন্দি রয়েছেন ইমরান। এদিন সেখানেই শুনানি হয়। বুশরা জেলের বাইরেই রয়েছেন। তাঁর আইনজীবীও খবরে সিলমোহর তদেন। ২০১৮ সালে, প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার আগে বুশরাকে বিয়ে করেন ইমরান। মাঝে তাঁদের ছাড়াছাড়ির খবরও শোনা যায়। তবে এ নিয়ে কোনও বিবৃতি দেননি দু'জনের কেউই।
গত বছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার হন ইমরান। তার পর থেকে জেলেই রয়েছেন তিনি। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। তার আগে জোড়া মামলায় জেল হল ইমরানের। তবে জেলবন্দি থাকলেও, এই মুহূর্তে পাকিস্তানে খবরের শিরোনামে রয়েছেন ইমরান। নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দেদার ছাপ্পাভোটের অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। আরও একটি মামলার জেরে নির্বাচনে নাম লেখানোর অধিকার হারিয়েছেন ইমরান।
২০২২ সাল থেকেই আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে ইমরান। যদিও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ইমরানের দাবি, তিনি যাতে মসনদে ফিরতে না পারেন, তার জন্যই ফাঁসানো হচ্ছে তাঁকে। পাকিস্তান সেনাকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন ইমরান। আমেরিকার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে, পাক সেনাই তাঁকে গদিচ্যুত করেছে বলেও দাবি করেছেন আগে। যদিও মসনদে থাকাকালীন পাক সেনার সঙ্গে দহরম মহরম ছিল তাঁর।