নয়াদিল্লি: করোনা আক্রান্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। এইমসে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। এইমসের ট্রমা সেন্টারে তিনি চিকিৎসাধীন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। 


মনমোহন সিংহের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লিখেছেন, আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডা. মনমোহন সিংহের সুস্বাস্থ্য এবং দ্রুত আরোগ্য় কামনা করছি।


এদিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, এইমাত্র খবর পেলাম প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ কোভিড পজিটিভ। স্যর আপনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।



দেশজুড়ে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে সংক্রমণ। এই আবহে গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। করোনা মোকাবিলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে ৫ পরামর্শ দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।


কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা চিঠিতে টিকাকরণের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের টিকাকরণের জন্য পর্যাপ্ত টিকা প্রয়োজন। আগামী ৬ মাসের জন্য কী পরিমাণ ভ্যাকসিনের অর্ডার দেওয়া হয়েছে তার তথ্য প্রকাশ্যে আনা উচিত।


জরুরি প্রয়োজনের ভিত্তিতে ১০ শতাংশ ভ্যাকসিন বিতরণ করা কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত। রাজ্যগুলোতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন আছে কিনা তাও দেখতে হবে। টিকা থাকলেই রাজ্যগুলি পরিকল্পনাঅনুযায়ী কাজ করতে পারবে।


৪৫ বছরের কম বয়স কিন্তু করোনা মোকাবিলায় সামনের সারিতে থেকে লড়াই করছেন, তাঁদের টিকাকরণের ক্ষেত্রে সরকারের নমনীয়তা দেখানো উচিত। এই তালিকায় আছেন, বাস, ট্যাক্সি চালক, পুরকর্মী, পঞ্চায়েত কর্মীরা।


বেশি পরিমাণ টিকা উৎপাদনের জন্য তহবিল গঠন সহ ছাড়ের দিকে কেন্দ্রকে নজর দিতে হবে। আরও উৎপাদনেকর জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থার কথাও বলেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।


ইউরোপীয় মেডিকেল এজেন্সি অনুমোদিত কোনও সংস্থার থেকে টিকা আমদানি করা যেতে পারে। কারণ এখন যে টিকা দেওয়া হচ্ছে তা সীমিত পরিমাণে।


এদিকে, আগের সব নজির ভেঙে এই নিয়ে পরপর দুদিন একদিনে করোনা সংক্রমণ ছাপিয়ে গেল আড়াই লক্ষ। এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮১০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১,৬১৯ জনের। ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৭৮ জনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৫০ লক্ষ ৬১ হাজার ৯১৯ জন। অ্যাক্টিভ কেস ১৯ লক্ষ ২৯ হাজার ৩২৯। মোট সুস্থতার সংখ্যা ১ কোটি ২৯ লক্ষ ৫৩ হাজার ৮২১। মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৬৯।