নয়াদিল্লি: প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লা কাণ্ডের পর এবার ভাঙন কৃষকদের মধ্যেই। বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির মধ্যে ৪ কৃষক সংগঠন সরে গেল আন্দোলন থেকে। ৩ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন প্রত্যাহার করল সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলি।

বুধবার রাষ্ট্রীয় কিষাণ মজদুর সংগঠন এবং ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন প্রজাতন্ত্র দিবসের ঘটনার জন্য আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে বলে জানিয়েছে। রাষ্ট্রীয় কিষাণ মজদুর সংগঠনের নেতা ভিএম সিংহ বলেন, আমাদের সংগঠন এই আন্দোলন থেকে সরে আসছে। যাদের উদ্দেশ্য অন্যরকম কিছু তাদের সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। গাজিপুর সীমান্তে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, আমরা আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করছি। কিন্তু কৃষকদের অধিকারের জন্য লড়াই জারি থাকবে।

একইসঙ্গে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন ঠাকুর ভানু  প্রতাপ সিংহ বলেন, দিল্লিতে হিংসার ঘটনায় তিনি মর্মাহত। তাই এই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দিল্লিতে যা ঘটেছে তাতে আমি মর্মাহত। ৫৮ দিনের আন্দোলন প্রত্যাহার করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এই আন্দোলন প্রত্যাহার করায় ৫৭ দিন পর খুলল দিল্লি নয়ডা লিঙ্ক রোড।  গত ১ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ ছিল এই রাস্তা। কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমারের সঙ্গে বৈঠক করেন দুই কৃষক নেতা। তাঁরা মন্ত্রীকে জানান, লালকেল্লা কাণ্ডের পর আন্দোলন প্রত্যাহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি দুই কৃষক সংগঠন  কিষাণ মহাপঞ্চায়েত এবং বিএকইউ লোক শক্তিও আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে।

মোদি সরকারের তিনটি কৃষি প্রত্যাহারের দাবিতে, প্রজাতন্ত্র দিবসে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দিল্লি। রাজধানীর রাস্তা দিয়ে ঝড়ের বেগে ছুটল একের পর এক ট্র্যাক্টর। মিছিলের চাপে ভেঙে পড়ল পুলিশের ব্যারিকেড। কোথাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাথর। কোথাও লাঠিবৃষ্টি করে পুলিশ। কৃষকদের ট্র্যাক্টর র‍্যালি শুরু হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার সকাল দশটা থেকে। সকাল আটটা নাগাদই সিংঘু, টিকরি, গাজিপুরের দিক থেকে কৃষকরা ট্র্যাক্টর নিয়ে দিল্লির দিকে এগোতে শুরু করে। শুধু ট্র্যাক্টরই নয়, আন্দোলনকারীদের অনেকে ছিলেন ঘোড়ার পিঠে। স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার যে জায়গায় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা তোলেন, প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে সেই খুঁটিতে চড়ে কৃষক সংগঠনের ঝান্ডা লাগিয়ে দেন হরিয়ানা-পাঞ্জাব সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা বিক্ষোভকারী কৃষকেরা।