নয়াদিল্লি: ধর্ষণের শিকার মহিলারা যাতে সময়সীমার মধ্যে ন্যয়বিচার পান, সেজন্য নির্যাতনকারী দোষী ব্যক্তি কতগুলি আবেদন, আর্জি পেশ করতে পারবে, সেই সংখ্যার ওপর গাইডলাইন বেঁধে দেওয়া উচিত সুপ্রিম কোর্টের। বললেন নির্ভয়ার বাবা। নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত চারজনের অন্যতম পবন গুপ্তা দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেছিল, ২০১২-র নির্ভয়া গণধর্ষণ, খুনের সময় সে নাবালক ছিল। দিল্লি হাইকোর্ট আগেই তার এই দাবি খারিজ করে। আজ শীর্ষ আদালতও পবনের দাবি নাকচ করে হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখে।
এ প্রসঙ্গে নির্ভয়ার বাবা বলেছেন, আদালত ওর আবেদন খারিজ করেছে, এটা সুখের কথা। কিন্তু আমাদের মামলা সংক্রান্ত কোনও পিটিশন আদালতে উঠলেই আমাদের হৃদকম্পন বাড়তে শুরু করে। শেষে আমরা শুধু ইতিবাচক খবরই শুনতে পাই।
মেয়ের ওপর জঘন্য, নৃশংস অত্যাচারে দোষী ঘোষিত চারজন পিটিশন, আবেদন করে ‘দেরি করিয়ে দেওয়ার কৌশল নিয়েছে বলে অভিমত জানিয়ে তিনি আদালতকে আবেদন করেন, নিগৃহীতারা যাতে সময়ের মধ্যে ন্যয়বিচার পান, তা সুনিশ্চিত করতে গাইডলাইন স্থির করা হোক। বলেন, এই মামলার তিনবার আদালতে, দিল্লি হাইকোর্টে, সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়েছে। আবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার জন্য কোনও বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করুক সুপ্রিম কোর্ট। এটা শুধু নির্ভয়ার নয়, অন্য মেয়েদেরও ব্যাপার। নির্ভয়া ও অন্য মেয়েরা যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ন্যয়বিচার পায়, সেজন্য গাইডলাইন ঠিক করে দেওয়ার আবেদন করছি।
দিল্লির এক আদালত গত শুক্রবার নতুন করে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে যাতে নির্ভয়া মামলায় চার দোষী বিনয় শর্মা, অক্ষয় কুমার সিংহ, মুকেশ কুমার সিংহ ও পবন গুপ্তাকে ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসিতে ঝোলাতে বলেছে।