রবিবার কিম্বারলির ডায়মন্ড ওভাল মাঠে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-শ্রীলঙ্কা। ম্যাচে ৯০ রানে জেতে প্রিয়ম গর্গের নেতৃত্বাধীন ভারত। তবে চর্চার কেন্দ্রে শ্রীলঙ্কার পেসার পাথিরানা। বয়স ১৭ বছর। ডানহাতি পেসারের বোলিং লাসিথ মালিঙ্গাকে মনে করায়। মালিঙ্গার মতোই স্লিঙ্গিং অ্যাকশন। অর্থাৎ বোলিং আর্ম বল রিলিজের সময় আড়াআড়িভাবে নেমে আসে।
রবিবার ম্যাচে দারুণ কিছু করতে পারেনি পাথিরানা। তার ৮ ওভারে ৪৯ রান তোলে ভারতীয় ব্যাটসম্যানেরা। লাইন-লেংথ নিয়েও সমস্যায় পড়তে হয়েছে পাথিরানাকে। তবে তার একটি ডেলিভারির গতি স্পিডগানে ধরা পড়ে ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার।
ভারতীয় ইনিংসের চতুর্থ ওভারের ঘটনা। পাথিরানার ডেলিভারি পিচে পড়ে লেগস্টাম্পের অনেকটা বাইরে দিয়ে গিয়ে জমা পড়ে উইকেটকিপারের গ্লাভসে। ওয়াইড দেন আম্পায়ার। তখনই স্পিডগানে বলের গতি দেখায় ১৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। বা ঘণ্টায় ১০৮ মাইল।
২০০৩ বিশ্বকাপে নিউল্যান্ডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শোয়েব আখতারের একটি ডেলিভারির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৬১.৩ কিলোমিটার। সেটাই ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ গতির ডেলিভারি। এছাড়া শন টেট, ব্রেট লি-র মতো পেসারদের ডেলিভারি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতি স্পর্শ করেছিল।
তবে পাথিরানার ডেলিভারিই এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দ্রুততম হয়ে রইল। ২২ জানুয়ারি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কার পরের ম্যাচ। সেই ম্যাচেও ১৭ বছরের পেসারের দিকে নজর থাকবে বিশ্বের।