কলকাতা: রবিবার থেকে কর্ণাটকে মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে সরকারি বাস পরিষেবা চালু করতে চলেছে কংগ্রেস সরকার। পরিষেবা শুরুর দিন একটি বাসে নিজে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। সিদ্দারামাইয়া উদ্বোধক বা বাসের যাত্রী হিসেবে নয়, বাসের কন্ডাক্টর হিসেবে থাকবেন বাসে। নিজে হাতে বিনা মূল্যে মহিলা যাত্রীদের  টিকিট দেবেন। কর্ণাটক প্রশাসন সূত্রে খবর, রবিবার সে রাজ্যের মন্ত্রীরা বেঙ্গালুরু থেকে এবং বিধায়করা তাঁদের নিজের কেন্দ্র থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বাস পরিষেবা চালু করবেন। কংগ্রেস সরকারের তরফে এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘শক্তি’।


সেই কারণে আজ বেঙ্গালুরুর একাধিক আজ যাত্রাপথে কিছুটা বদল আনা হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের তরফে জানান হয়েছে, ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত এই পরিষেবা দেওয়া হবে বিভিন্ন রাস্তায়। ফলে কেআর সার্কেল থেকে বালেকুন্দ্রি সার্কেল এবং বালেকুন্দ্রি থেকে কেআর সার্কেল পর্যন্ত ভিজিটরদের প্রবেশের কোনও অনুমতি নেই। 


কেআর সার্কেল থেকে তাই ন্রুপাথুঙ্গা রোডে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, বালেকুন্দ্রি সার্কেল থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হবে কুইন্স সার্কেলের দিকে। পাশাপাশি সিটিও সার্কেল দিয়ে যে রাস্তা রাজভবনের দিকে গিয়েছে এবং বাম দিকে ঘুরে কেআর সার্কেলের দিকে গিয়েছে সেখানে গাড়ি এবং জনগণের প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। 


নিখরচায় সরকারি বাসে ওঠার এই প্রকল্পের নাম ‘শক্তি’ (Shakti)। এই প্রতিশ্রুতি যে কর্নাটকের ভোটে মহিলাদের হাতের দিকে টেনেছে, তা মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সরকারে আসার এক মাসের মধ্যেই এই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল কংগ্রেস। সেই মতোই শুরু হতে চলেছে ফ্রি বাস সার্ভিস। 


মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়েছে,  জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব মহিলারা এই সুবিধে পাবেন। নির্বাচনী সভার সময়ই কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, মূল্যবৃদ্ধির জেরে মানুষের অবস্থা নাজেহাল। এই পরিস্থিতিতে মহিলাদের কিছুটা স্বস্তি দেবে এই প্রকল্প। এতে বহু অর্থব্যয় হবে ঠিকই। কিন্তু তা সত্ত্বেও মানুষের জন্য এই প্রতিশ্রুতি সরকার ক্ষমতায় আসার এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।        


স্থানীয় ইস্যুকে ফোকাস করা প্রদেশ নেতৃত্বের ওপর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ছেড়ে দেওয়া- রাজনৈতিক মহলের মতে, কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে এই দুটি বিষয়কেই সামনে রেখে বাজিমাত করেছে কংগ্রেস আর সেই সাফল্যের অন্যতম দাবিদার, কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ডি কে শিবকুমার এবং বিরোধী দলনেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। কর্ণাটকের মাটি চষে তাঁরা প্রচার করেছেন। ১৩৬ জন প্রার্থীকে জিতিয়ে এনেছেন। নিজেরাও নিজেদের কেন্দ্র থেকে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। ভোটে জিতে কর্ণাটকে ফের মুখ্যমন্ত্রী হন সিদ্দারামাইয়া, উপমুখ্যমন্ত্রী হন ডি কে শিবকুমার। 


 


আরও পড়ুন, কর্নাটকে বিনা খরচে সরকারি বাসে চড়তে পারবেন মহিলারা, কন্ডাকটর হবেন মুখ্যমন্ত্রী