সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইএ মোহিত গোয়েল জানিয়েছেন, প্রায় ২ লক্ষ হ্যান্ডসেট বানানো হয়ে গিয়েছে। আগামী ৩০ জুন থেকে তা গ্রাহকদের হাতে তুলে দিতে পারবেন তাঁরা। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রথম দফায় ২ লাখ ফোন ডেলিভারি হয়ে গেলে আবার দ্বিতীয় দফার রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে।
সংস্থা এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় পরিকল্পনা করেছিল ৩০ জুনের আগে ২৫ লক্ষ ফোন গ্রাহকদের হাতে তুলে দেবে। যদিও বুকের জন্য নির্ধারিত তিন দিনে সাত কোটিরও বেশি মানুষ ফোনটি কেনার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিল।
গোয়েল জানিয়েছেন, অত সংখ্যক না হলেও ২ লাখ ফোন গ্রাহকদের হাতে তুলে দিতে পারবেন তাঁরা। তিনি বলেন, ভুল থেকেই আমরা শিক্ষা নিয়েছি। যতক্ষণ না প্রডাক্ট বাজারে আসছে, এনিয়ে কোনও কিছু বলব না। তিনি বলেন, ফোন পিছু ১৪০-১৫০ টাকা করে ক্ষতি হয়েছে। সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমানটা বেশ খানিকটাই। তবে ডিজিটাল ইন্ডিয়া, মেক ইন ইন্ডিয়া-র অংশ হতে পেরে এবং দেশের গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের হাতে এই ফোন পৌঁছে দেওয়ার স্বপ্নপূরণ করতে পারার আগের মুহূর্তে দাঁড়িয়ে তিনি খুশি। তিনি জানিয়েছেন, প্রত্যেক মাসে ২ লক্ষ ডিভাইজ বিক্রির কথা ভাবছেন তাঁরা।
ফোনটির বিশেষত্ব-
- ৪ ইঞ্চি
- ডুয়েল সিমের
- ৩জি ডিভাইজ
- ১.৩ গিগাহার্টস কোয়াড কোর প্রসেসর
- ১ জিবি র্যাম
- ৮ জিবি ইন্টারনাল মেমোরি
- এক্সটারনাল মেমোরি ৩২ জিবি পর্যন্ত
- ৮ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা
- ৩.২ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা
- ১৮০০ এমএএইচ ব্যাটারি
- অ্যান্ড্রয়েড ৫.১ (ললিপপ)
সংস্থা জানিয়েছে, সবথেকে কম দামের টিভি তৈরির পরিকল্পনা করছে তারা। ৩২ ইঞ্চির হাই ডেফিনিশন এলইডি টিভি নির্মাণের ভাবনা চিন্তা রয়েছে তাঁদের। দাম হবে ১০ হাজার টাকার নিচে। সাধারণত এই ধরণের টিভির বাজার চলতি দাম ১৩ হাজার টাকা।
প্রসঙ্গত, এই ফোন নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। এফআইআর দায়েরও হয় সংস্থার নামে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, এত কম টাকায় স্মার্টফোন দেওয়া কখনই সম্ভব নয়। কংগ্রেস অভিযোগ করে, এটি হল এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি। বাধ্য হয়ে সংস্থার আয়-ব্যয়ের রিপোর্ট খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ।