নয়াদিল্লি:গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে রাজীব শর্মা নামে এক ফ্রিল্যান্স সাংবাদিককে সোমবার গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। আপাতত ছ'দিনের পুলিশে হেফাজতে রয়েছেন তিনি। টানা ২ বছর ধরে দেশের নানা সংবেদনশীল ও কৌশলগত তথ্য তিনি চিনে পাচার করেছেন বলে শনিবার জানাল দিল্লি পুলিশ। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট বা সরকারি গোপনীয়তা রক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল।
পুলিশের মতে, ২০১৬ থেকে ১০১৮ পর্যন্ত প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত তথ্য চিনা গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। এমনকি বিভিন্ন দেশে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে নানা জায়গায় তিনি দেখাও করতেন বলে জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের ডিসিপি সঞ্জীব কুমার যাদব। ডিসিপি বলেছেন, ’’গ্রেফতারির পর তাঁর কাছ থেকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কিছু গোপন নথি উদ্ধার হয়েছে।‘‘
সূত্রের দাবি, দিল্লি পুলিশ ক্লাসিফায়েড নথিপত্র হাতানোয় রাজীবের জড়িত থাকার ব্যাপারে গোপন খবর পায়, তাই সরকারি গোপনীয়তা রক্ষা আইনে তাঁকে গ্রেফতার করে স্পেশাল সেল।
৪০ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত রাজীব শর্মা। দেশের বহু সংবাদমাধ্যমে তিনি কাজ করেছেন। চিনের সরকারি সংবাদপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’এর হয়ে নিবন্ধ লিখতেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। শেল কোম্পানির মাধ্যমে তাঁকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাঠানোয় এক চিনা মহিলা ও তার নেপালি সহযোগীকেও গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।
রাজীব শর্মাকে গ্রেফতারির পরে তাঁর ল্যাপটপ, মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে দিল্লি পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁর মোবাইলের কল লিস্ট। গ্রেফতারির পর তাঁর ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে বার্তা দেওয়া হয় যে, সন্দেহজনক কাজকর্মের জন্য রাজীব শর্মার অ্যাকাউন্টে নিয়ন্ত্রণ জারি করা হল।