নয়া দিল্লি: লক্ষ্য ছিল একটাই, জীবনকে উন্নতির শিখরে দাঁড় করানো। সেই লক্ষ্য নিয়েই লাইফ ইনসিওরেন্স অফ ইন্ডিয়ার এজেন্টের চাকরি করা শুরু করেছিলেন প্রথম জীবনে। এরপর ভাগ্যের চমক এবং লক্ষ্যপূরণের নেশায় ৯২ বছর বয়সি লছমন দাস মিত্তল আজ ভারতের প্রবীণতম ধনকুবের। এর আগে এই রেকর্ড অবশ্য ছিল মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা লিমিটেডের চেয়ারম্যান এমিটেরাস কেশব মাহিন্দ্রার। তবে ১২ এপ্রিল ৯৯ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যুর পর বর্তমানে এই রেকর্ডের মালিক হলেন সোনালিকা ট্র্যাক্টরের মালিক লছমন দাস মিত্তল।
লছমন-জীবনী
ভারতের বৃহত্তম ট্রাক্টর প্রস্তুতকারক সোনালিকা গ্রুপের মালিক তিনি। অবশ্য কর্মজীবনের শুরুটা এত সহজ ছিল না। এলআইসি-তে একজন বীমা এজেন্ট হিসাবে তার পেশাদার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন তিনি। ১৯৯০ সালে জোনাল ম্যানেজার হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন। এর ছ'বছর পর অর্থাৎ যখন তাঁর বয়স ছিল ৬৫ বছর সেই সময় নিজের উদ্যোগে সোনালিকা গ্রুপ তৈরি করে ব্যবসা শুরু করেন তিনি।
পঞ্জাবের হোসিয়ারপুরের বাসিন্দা তিনি। ১৯৯৬ সালে সোনালিকা গ্রুপ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার নিজস্ব ব্যবসার যাত্রা শুরু হয়েছিল। এই গ্রুপটি দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় ট্র্যাক্টর প্রস্তুতকারক হয়ে উঠেছে বর্তমানে। বর্তমানে তাঁর সম্পত্তির জন্যই তিনি আজ ভারতের প্রবীণতম ধনকুবের হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে তাঁর সম্পত্তির মোট মূল্য ২.৫ বিলিয়ন ডলার।
এই ধনকুবের হওয়ার গল্পে তিনি মজা করে একবার বলেছিলেন, 'একবার আমি মারুতি শিল্পের ডিলারশিপের জন্য আবেদন করলেও প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলাম। আজ আমি নিজেই ডিলারশিপ দিচ্ছি'। ২০১৩ সালে ফোর্বস বিলিয়নেয়ার তালিকায় প্রথম প্রবেশ করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন, তাপপ্রবাহের মারাত্মক প্রভাব, দেশের একাধিক এলাকাকে 'বিপজ্জনক' ঘোষণা!
যদিও এখন তিনি নবতিপর। তাই সংস্থার কাজ থেকে সরে এসেছেন তিনি। তাঁর ছেলেরাই তাঁর হাল ধরেছেন। মিত্তালের বড় ছেলে অমৃত সাগর কোম্পানির ভাইস-চেয়ারম্যান, আর তার ছোট ছেলে দীপক ব্যবস্থাপনা পরিচালক। মিত্তালের দ্বিতীয় ছেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন সুপ্রতিষ্ঠিত ডাক্তার এবং তার মেয়ে উষা সাংগাওয়ান হলেন এলআইসির প্রথম মহিলা ব্যবস্থাপনা পরিচালক।