নয়াদিল্লি : জি টোয়েন্টির সম্মেলন (G 20 Summit) ঘিরে দিল্লিতে এখন রাজসূয় যজ্ঞ চলছে। প্রথম দিনেই প্রকাশিত হয়েছে ঐতিহাসিক দিল্লি ঘোষণাপত্র। কাল সম্মেলনের শেষ দিনে রাজঘাটে গান্ধীজির সমাধিস্থলে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রনেতারা।
দিল্লিতে এখন G ২০ সম্মেলনের সমারোহ। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন-সহ (Jo Biden) পশ্চিমি দুনিয়ার তাবড় রাষ্ট্রনেতা এই মঞ্চে উপস্থিত। ভারতের ইতিহাসে এক গৌরবজ্জ্বল অধ্য়ায়। যদিও ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে পশ্চিমি দেশগুলির রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এড়াতে এবারের G ২০ সম্মেলনে দিল্লিতে আসেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ায় তারাই সর্বশক্তিমান, সম্ভবত কৌশলে এই বার্তা দিতেই দিল্লিতে G ২০ সম্মেলনে উপস্থিত হননি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-ও।
তবে সম্মেলনের প্রথম দিনই ঐতিহাসিক কাজটি অত্য়ন্ত নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। সর্বসম্মতিতে গৃহীত হয়েছে নয়াদিল্লির G-20 ঘোষণাপত্র। ঘোষণাপত্রে ‘সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট’-এর বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। সেই সঙ্গে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের বিষয়টি নিয়েও বেশ কিছু লক্ষ্যের কথা বলা হয়েছে। এই কাজে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে সাহায্যের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ৩৭ পাতার এই ঘোষণাপত্রে।
রবিবার সম্মেলনের শেষ দিন। রবিবার সকাল সোয়া আটটা থেকে ৯ টার মধ্য়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতা ও প্রতিনিধি দলের সদস্য়রা রাজঘাটে গান্ধীজির সমাধিস্থলে যাবেন। সকাল ৯টা থেকে ৯.২০ পর্যন্ত রাষ্ট্রনেতারা গান্ধীজির সমাধিতে পূষ্পার্ঘ্য় অর্পণ করবেন। জাতির জনকের প্রিয় পছন্দের ভক্তিগীতির লাইভ প্রদর্শন হবে।
এরপর ৯.২০ নাগাদ নিজস্ব কনভয়ে আলাদা আলাদাভাবে রাষ্ট্রনেতারা লিডার্স লাউঞ্জে পৌঁছবেন। ৯.৪০ থেকে ১০.২৮ মিনিট পর্যন্ত ভারত মণ্ডপমে ফের জড়ো হবেন জি-২০ ভূক্ত দেশগুলির প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীরা। ভারত মণ্ডপমের লেভেল - টু সাউথ প্লাজায় বৃক্ষরোপণ করবেন তাঁরা। সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত ভারত মণ্ডপমের লেভেল-টু সামিট হলে 'ওয়ান ফিউচার' শীর্ষক আলোচনা শুরু হবে।
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, 'নয়া দিল্লি লিডার্স ঘোষণাপত্র' রবিবার প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগেই তা প্রকাশিত করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। অত্য়ন্ত গুরুত্বপূৃর্ণ বিষয় হল, এই ঘোষণাপত্রে ইউক্রেন যুদ্ধের উল্লেখ করা হয়েছে। ৪ বার এসেছে যুদ্ধের প্রসঙ্গ। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাশিয়ার নামের উল্লেখ করা হয়নি। শুধু ইউক্রেন যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে।
ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে অবিলম্বে স্থায়ী শান্তিস্থাপন জরুরি। যে কোনও দেশের ভূখণ্ড দখলের উদ্দেশে বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকা উচিত বলেই উল্লেখ করা হয়েছে এই ঘোষণাপত্রে। এছাড়াও বলা হয়েছে, পরমাণু অস্ত্রের ব্য়বহার কিংবা তা ব্য়বহারের হুমকি দেওয়াও একেবারেই অনুচিত কাজ।
আরও পড়ুন- ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে সোজা ইউরোপ পর্যন্ত করিডর, জি ২০-র মঞ্চে ঐতিহাসিক চুক্তি
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন