নয়া দিল্লি : পাকিস্তানের সঙ্গে "স্বাভাবিক ও প্রতিবেশীসুলভ" সম্পর্ক চায় ভারত। কিন্তু, সন্ত্রাসবাদমুক্ত একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা ইসলামাবাদের দায়িত্ব।" স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাপানে Nikkei Asia-র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এপ্রসঙ্গে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে পাকিস্তানকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলে জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, ভারত বারবার আন্তঃ-সীমান্ত সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। তার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পাকিস্তান। তাই এই পরিস্থিতিতে কথোপকথন চলতে পারে না বলে দ্বৈর্থ্যহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে ভারত।
G7 সম্মেলনে যোগ দিতে জাপান পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। আজই হিরোশিমায় পা রাখেন তিনি। সম্মেলেন অতিথি দেশ হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতকে। ২০০৩ সাল থেকে G7 সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে ভারত। সেখানে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব ঠেকাতে ভারত কি মধ্যস্থকারীর ভূমিকা পালন করতে পারে ? এ জাতীয় নানা প্রশ্ন ওঠে। সেখানে পাকিস্তান প্রসঙ্গ ওঠে।
দিনকয়েক আগে গোয়ায় বিদেশমন্ত্রীদের এক বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো। কিন্তু, সেখানে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কোনও আলোচনা হয়নি।
Nikkei। এশিয়ার অন্যতম স্বতন্ত্র বিজনেস মিডিয়া গ্রুপ। জাপানে G7 সম্মেলনের আগে তাদের দেওয়া প্রধানমন্ত্রী মোদির সাক্ষাৎকারে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের একাধিক ইস্যু উঠে আসে। তার মধ্যে ছিল চিনের সঙ্গে সম্পর্কের কথা। সে প্রসঙ্গে মোদি বলেন, "ভারত নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষা করতে প্রস্তুত এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।" প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে গ্রীষ্মে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনের সঙ্গে ভারতের টানাপোড়েনের প্রেক্ষাপটে এই মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর। তিনি বলেন, চিনের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য সীমান্তবর্তী এলাকায় শান্তি এবং স্থিতাবস্থা প্রয়োজন। পারস্পরিক সম্মান, পারস্পরিক সংবেদনশীলতা ও পারস্পরিক স্বার্থের উপর ভিত্তি করে ভারত-চিন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।
মোদিকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ভারত কি রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব মেটাতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে পারে ? এপ্রসঙ্গে তাঁর উত্তর, "ভারত শান্তির পক্ষে এবং দৃঢ়ভাবে সেই অবস্থানেই থাকবে। যাঁরা ন্যূনতম প্রয়োজন মেটাতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন, আমরা তাঁদের সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশেষ করে খাবার, জ্বালানি ও সারের মতো জিনিসের দামবৃদ্ধির সময়ে। আমরা রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয় দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ রেখেছি।"
তাঁর সংযোজন, "আমাদের সময়টা সহযোগিতা এবং যৌথ উদ্যোগের উপর নির্ভরশীল, দ্বন্দ্বের উপর নয়।"