নয়াদিল্লি: গালওয়ান সীমান্তে দাঁড়িয়ে দেশকে রক্ষা করার সময় শহীদ হয়েছিলেন বীর সেনা সন্তোষ বাবু। সেই প্রাণ বিসর্জনকে স্মরণ করে মরণোত্তর মহাবীর চক্রে সম্মানিত করা হবে। শুধু সন্তোষ বাবুকেই নয়, সম্মান জানানো হবে, আরও ১৯ জন সেনাকে। চিনের আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ বলি দিয়েছিসেন প্রত্যেকেই। পরমবীর চক্র, মহাবীর চক্র, বীর চক্রের মতো সাহসিকতার পুরস্কারে নিহত সেনাদের ভূষিত করা হবে।


গত বছরের জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান ভ্যালিতে ভারতের ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টায় থাকা চিনা সেনাদের আটকাতে ভয়ানক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছিলেন। গোলা-গুলির ব্যবহার থেকে বিরত থাকার নিয়মের ফাঁক গলে চিনের লাল ফৌজ কাঁটা-পেরেক লাগানো লাঠি নিয়ে রাতের অন্ধকারে আক্রমণ শানিয়েছিল ভারতীয় সেনাদের উপর। ক্রমাগত পাথর, ইঁট ছোড়া হয়েছিল চিন সেনাদের তরফে। কার্যত নিরস্ত্র অবস্থায় প্রতিকূল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে পাল্টা লড়াই করেছিল ভারতীয় সেনা। কিন্তু দেশের ভূ-খণ্ড রক্ষা করার সময় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২০ জন সেনা। গত দু-দশক সময়কালে যে সম্মুখসমরই ছিল সবথেকে ভয়ঙ্কর লড়াই।

সন্তোষ বাবু ছাড়াও এই তালিকায় আছেন সঞ্জীব কুমার। কৃতি চক্রে সম্মানিত করা হবে তাঁকে। নুদুরাম সোরেন, হাভ কে পালানি, তেজিন্দর সিংহ, দীপক সিংহ, গুরতেজ সিংহকে সম্মানিত করা হবে বীর চক্রে। শৌর্চ চক্রে সম্মানিত করা হবে অনুজ সুদ, প্রণব জ্যোতি দাস, সোনাম শেরিং তামাংকে।

প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চিনের সেনাদের সঙ্গে সম্মুখ সমরে নামেন ভারতীয় সেনারা। দেশকে রক্ষা করতে প্রাণ হারান ২০ জন বীর জওয়ান। এবার তাঁদের সম্মান জানাতে উদ্যোগী হল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। লাল ফৌজের হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে ইতিমধ্যে পূর্ব লাদাখের পোস্ট ১২০তে ‘গ্যালেন্ট অফ গালওয়ান’ নামে শৌধ বানিয়েছে ভারতীয় সেনা। স্নো লেপার্ড অপারেশনের অধীনে সেনাদের বীরত্বের কথা সোনালি হরফে উল্লেখ করা রয়েছে। দিল্লির ওয়ার মেমোরিয়ালেও গালওয়ান ভ্যালিতে প্রাণ হারানো ২০ জনের উল্লেখ করা হয়েছে আলাদা করে।