কলকাতা : ফি বছর দেশে অনেক উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয় গণেশ চতুর্থী উৎসব। এই বছর ১০ সেপ্টেম্বর পালিত হবে দিনটি। ১১ দিনের এই উৎসব ২১ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। এই দিনে ভগবান গণেশের পুজো করা হয়। মহারাষ্ট্র, গুজরাট, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পালিত হয় গণেশ চতুর্থী উৎসব। এই উৎসবে গৃহস্থের বাড়িতে গণেশের মূর্তি নিয়ে এসে পুজো করা হয়।
গণেশ চতুর্থীর শেষ দিনকে বলা হয়, 'অনন্ত চতুর্দশী'। ওই দিন ভক্তরা গণেশের কাছে প্রার্থনা করেন, আগামী বছর যেন আবার তিনি ফিরে আসেন। অনেকে এই উৎসবটিকে দুই দিনের জন্য উদযাপন করেন। কেউ কেউ এটি পুরো দশ দিন ধরে উদযাপন করেন। একে গণেশ মহোৎসব বলা হয়।
বিশ্বাস অনুযায়ী, ভগবান গণেশের পুজো করলে জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। ‘সনাতন ধর্মে’ ভগবান গণেশের পুজো করা হয় কোনও শুভ কাজ শুরু করার আগে। তাই গণেশ চতুর্থীর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
এই বছর 'চতুর্থী তিথি' ১০ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টা ১৭ মিনিটে শুরু হয়ে রাত ১০ টা পর্যন্ত চলবে। এই দিনে ভক্তদের তাড়াতাড়ি উঠে স্নান এবং তার পর বাড়ির মন্দির পরিষ্কার করা উচিত। এর পর ভগবান গণেশকে 'দূর্ব ঘাস', 'লাডু' এবং 'মোদক' দেওয়া হয়। ভগবান গণেশের পুজো আরতি দিয়ে সম্পন্ন হয়।
এটা বিশ্বাস করা হয় যে, যথাযথভাবে ভগবান গণেশের পুজো করলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। ভগবান গণেশের মূর্তি, জলের পাত্র, 'পঞ্চামৃত', লাল কাপড়, 'রোলি', 'অক্ষত', এলাচ, নারকেল, 'সুপারি', ' ঘি কপূর', চৌকি এবং গঙ্গাজল পুজো সম্পন্ন করার জন্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন। এছাড়া রয়েছে আরও কয়েকটি জিনিস।
মানুষ প্রতি বছর ভগবান গণেশকে তাঁদের বাড়িতে স্বাগত জানাতে যেমন ভালোবাসেন, তেমনই তিনি চলে যাওয়ার সময় তাঁদের দুঃখ হয়। কিন্তু, গণেশের স্বাগত ও বিদায় উভয়ই হয় একই রকম ভক্তির সাথে। গণেশকে সাধারণত 'বিঘ্নহর্তা' বলা হয়, যার অর্থ হল- সমস্ত বাধা দূর করা।