অমৃতসর: যাত্রীবাহী ট্রেনে আচমকা আগুন। আগুন লাগল অমৃতসর-সহর্ষ গরিব রথ ট্রেনে। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর মেলেনি এখনও পর্যন্ত। আগুন নিভিয়ে শেষ পর্যন্ত ট্রেনটিকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কী করে আগুন লাগল, এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। হুড়োহুড়িতে বেশ কয়েক জন চোট পেয়েছেন। (Indian Railways)

Continues below advertisement

শনিবার সকালে ১২২০৪ অমৃতসর-সহর্ষ গরিব রথ এক্সপ্রেসে আগুন লাগে। পঞ্জাবের সরহিন্দ স্টেশনে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে, যা কি না নর্দার্ন রেলওয়ে জোনের অন্তর্ভুক্ত। সকালে ৭টা বেজে ৩০ মিনিটে আগুন লাগে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যায়। শেষ পর্যন্ত বেলা ১০টা বেজে ৩৯ মিনিটে ট্রেনটি গন্তব্যে রওনা দেয়। (Garib Rath Express Fire)

ট্রেনের ১৯ নম্বর কামরায় আগুন লাগে বলে খবর। প্রাথমিক তদন্তে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে বলে অনুমান। তবে নির্দিষ্ট কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। আগুন লাগার পরই ট্রেনে যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। এমার্জেন্সি ব্রেক চেপে ট্রেন থামান লোকো পাইলট। জিনিসপত্র ফেলে রেখেই ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন যাত্রীদের অনেকে। ধাক্কাধাক্কিতে অনেকে আহত হয়েছেন বলে খবর।

Continues below advertisement

ঘটনাস্থল থেকে যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ট্রেনের কামরার মধ্যে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ধোঁয়ার কুণ্ডলী বেরিয়ে আসছে জানলা দিয়ে। ট্রেনের পিছনের দরজা দিয়েও গল গল করে ধোঁয়া বেরোতে থাকে। সেই অবস্থায় হোসপাইপে করে জল ছোড়া হয়। অগ্নিনির্বাপকও চোখে পড়ে। বহু মানুষকে নেমে রেললাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ আগুন চোখে পড়ে। রেলের আধিকারিকরা তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করেন। যাত্রীদের তড়িঘড়ি অন্য কামরায় সরিয়ে নিয়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় শেষ পর্যন্ত। এই অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনও খবর নেই এখনও পর্যন্ত। 

 ১২২০৪ অমৃতসর-সহর্ষ গরিব রথ এক্সপ্রেস ৩১.২০ ঘণ্টায় ১৭১৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। সপ্তাহে তিন দিন, বুধ, শনি ও রবিবার অমৃতসর থেকে ট্রেনটি ছাড়ে। মোট ২৩টি স্টেশনে দাঁড়ায়, যার মধ্যে রয়েছে জলন্ধর সিটি, আম্বালা, দিল্লি, হাপুর, মোরাদাবাদ, বরেলী, লখনউ, গোরক্ষপুর, ছাপরা, মুজফ্ফরপুর, বেগুসরাইয়ের মতো স্টেশন। সেই ট্রেনে কী থেকে আগুন লাগল, এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।