কলকাতা: মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ। ফের বাড়ল ভর্তুকিযুক্ত রান্নার গ্যাসের দাম। সিলিন্ডার প্রতি ৫০ টাকা বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম। ভর্তুকিযুক্ত রান্নার গ্যাসের দাম হল ৭৯৫ টাকা ৫০ পয়সা। ফেব্রুয়ারিতেই ভর্তুকিহীন গ্যাসের দাম বেড়েছিল ২৫ টাকা।


আরও মহার্ঘ হল রান্নার গ্যাস। ডিসেম্বর থেকে তিন দফায় বেড়ে চলতি মাসেই সিলিন্ডারপিছু ভর্তুকিহীন গ্যাসের দাম হয় ৭৪৫ টাকা ৫০ পয়সা। দামবৃদ্ধির জেরে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। এদিকে মধ্যবিত্তের জন্য খুব একটা স্বস্তির খবর দেয়নি এবারের বাজেট। ব্যক্তিগত আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা না বাড়িয়ে, বয়স্কদের নামমাত্র স্বস্তি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের বাজেটে হতাশ মধ্যবিত্তর উদ্বেগ বাড়িয়েছে রান্নার গ্যাসের দাম।


উল্লেখ্য, রান্নার গ্যাসের দাম ডিসেম্বর থেকে বেড়েই চলেছে। গত বছরের শেষ মাসে দু’দফায় সিলিন্ডারপিছু দাম বেড়েছে ১০০ টাকা। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে ফলে ভর্তুকিহীন ১৪ কেজি ২০০ গ্রাম এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হয় ৭৪৫ টাকা ৫০ পয়সা। আগে যার দাম ছিল ৭২০ টাকা ৫০ পয়সা।


বারবার গ্যাসের দাম বাড়ায় মধ্যবিত্তের যখন কপালে ভাঁজ। একে করোনাকালে দেশের অর্থনীতি বেহাল। চাকরি হারিয়েছেন অনেকে। বেসরকারি সংস্থাগুলির কোথাও বেতনে কাটছাঁট হয়েছে, কোথাও বাড়েনি মাইনে। এই অবস্থায় সংসার চালাতে হিমসিম খাওয়া মধ্যবিত্তের কাছে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো অবস্থা। চলতি মাসের শুরুতেই দাম বাড়া নিয়ে সাফাই দিয়েছিল ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষ। ইন্ডিয়ান অয়েলের মার্কেটিং ডিরেক্টর গুরমিত সিংহ ভর্তুকিহীন গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পর বলেছিলেন, “আমাদের হাতে কিছু নেই, সবটাই বাজারের উপর নির্ভর, কবে দাম কমবে এখনই বলা সম্ভব নয়।“


ভোটের মুখে পেট্রোপণ্যের লাগাতার দামবৃদ্ধিতে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কায় যখন সাধারণ মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ, তখন রেহাই পেল না মধ্যবিত্তের হেঁশেলও। রান্নার গ্যাসের দাম যদি এভাবে লাফিয়ে বাড়ে তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? খাবে কী? এই প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রকে বিঁধেছে বিরোধীরা।