কলকাতা: শুক্রবার সংখ্যালঘু অধিকার দিবসেই ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক কবিরুল ইসলাম।  যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষত মুসলিমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল জনসমর্থনের অন্যতম ভিত্তি,  সেখানেও ভাঙন ধরল অবশেষে। শুক্রবার দলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি হাজি শেখ নুরুল ইসলামকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। দলত্যাগের পর তিনি জানিয়েছেন, তিনি সদ্য তৃণমূলের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজেপির পথে পা বাড়িয়ে রাখা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই থাকবেন।


কিন্তু কেন ছাড়লেন দল? কারণ হিসেবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও পিকে-র টিমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কবিরুল। বিজেপিতে যোগদানের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, তিনি শুভেন্দুর সঙ্গেই থাকবেন। তবে এই বিষয়ে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


জেলায় জেলায় তৃণমূল ত্যাগের হিড়িক চলছে। হাজি শেখ নুরুল ইসলামকে পাঠানো পদত্যাগপত্রে কবিরুল ইসলাম লিখেছেন, তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি আমি।


এদিকে  শুভেন্দু অধিকারী, জিতেন্দ্র তিওয়ারি, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পর এদিন দল ছাড়লেন শীলভদ্র দত্তও। তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে দলত্যাগ করেছেন শীলভদ্র। ছেড়েছেন সরকারি গাড়িও। যদিও, এখনও তিনি বিধায়ক পদে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন শীলভদ্র। পাশাপাশি, এদিন শীলভদ্রর অফিসে দেখা যায় মমতার ছবি সরিয়ে লাগানো হয়েছে স্বামী বিবেকানন্দের ছবি। ব্যাক ড্রপে গেরুয়া রং। যদিও বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা জিইয়ে রেখেছেন তিনি।  সূত্রের দাবি, আগামী শনিবার মেদিনীপুরে অমিত শাহ-র সভামঞ্চে শুভেন্দুর পাশে দেখা যেতে পারে শীলভদ্রকেও। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করছিলেন তিনি ।শীলভদ্রের মানভঞ্জনে তাঁর অফিস অবধি পৌঁছেছিল টিম পিকে। কিন্তু তিনি ফিরিয়ে দেন ভোট কুশলী পিকে-র টিমকেও। সেই থেকে তাঁর দলত্যাগ নিয়ে জল্পনা ছিলই, তাতেই সিলমোহর পড়ল।