Geomagnetic storm: ফের সংকট নেমে আসতে পারে পৃথিবীতে। আজ বৃহস্পতিবার সূর্য থেকে ২২ লক্ষ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসতে চলেছে ঝড়। বিজ্ঞানীরা যাকে 'জিওম্যাগনেটিক স্টর্ম' (Geomagnetic storm) বলছেন।


Sun explodes again: কেন সূর্যের এই পরিণতি ?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, সৌরচক্র অনুযায়ী সম্প্রতি অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে সূর্যপৃষ্ঠ। প্রতিনিয়ত ঘটছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বিজ্ঞানীদের ভাষায় যাকে করোনাল মাস ইজেকশন (Coronal Mass Ejection) বলা হচ্ছে। আজ সেই বিস্ফোরণের ফল ভুগতে হতে পারে পৃথিবীকে। Indian Institute of Science Education and Research, Kolkata-র মতে, সূর্যপৃষ্ঠে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ফলে প্রচুর পরিমাণ প্লাজমা নির্গত হচ্ছে। সহজ কথায় এই প্লাজমা থেকেই জন্ম নিয়েছে সৌরঝড়। আজ যা পৃথিবীর পৃষ্ঠে আছড়ে পড়বে।


Coronal Mass Ejection: পৃথিবীর কী ক্ষতি করবে এই সৌরঝড় ?
গবেষকরা বলছেন, এই করোনাল মাস ইজেকশনের ফলে সূর্যপৃষ্ঠ থেকে সবচেয়ে বড় অগ্ন্যুৎপাতগুলি মহাকাশে ছড়িয়ে পড়বে। প্রতি ঘণ্টায় কয়েক মিলিয়ন মাইল বেগে এক বিলিয়ন টন পদার্থ ধারণ করতে পারে এই সৌরঝড়। যা আদতে ইন্টার প্ল্যানেটারি মিডিয়ামে ছড়িয়ে গিয়ে উপগ্রহ বা গ্রহের ক্ষতি করবে। পৃথিবীর ওপর আছড়ে পড়লে এই ঝড় ইলেকট্রিনিক্স কমিউনিকেশনের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এরফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে  পৃথিবীর স্যাটেলাইট ও রেডিও কমিউনিকেশন ব্যবস্থা।


Sun explodes again: কী হচ্ছে সূর্যগর্ভে
কেন্দ্র বলছে, গত 28 মার্চ সূর্যের সক্রিয় অঞ্চল 12975 ও 12976 থেকে সৌর শিখাগুলি ছেড়েছে। এই শিখাগুলি এখন পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রে আঘাত করার কারণে করোনাল মাস ইজেকশনের বা মাঝারি ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের (Geomagnetic storm) আশঙ্কা তৈরি করেছে। সেই অনুযায়ী ৩১ মার্চ পৃথিবীর ওপর আছড়ে পড়তে পারে এই সৌরঝড়।


Geomagnetic storm Update: একই আশঙ্কা করছে আমেরিকা
তবে শুধু ভারত নয়, এই ভয়াবহ সৌরঝড়ের আশঙ্কা করছে ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার (NOAA)। তারাও এই পর্যবেক্ষণকে সমর্থন করেছে। তাদের মতে, 31 মার্চ পৃথিবীতে একটি G3 শ্রেণির শক্তিশালী ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় (Geomagnetic storm) আছড়ে পড়তে পারে।বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এই ঝড়ের ফলে স্যাটেলাইটের উপাদানগুলিতে সারফেস চার্জিং ঘটতে পারে। লো-আর্থ-অরবিট স্যাটেলাইট বৃদ্ধি ওরিয়েন্টেশন সমস্যার জন্য সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। এরফলে সমস্যা হবে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সিতে।