নয়াদিল্লি : এর আগেও তিনি ভারত সফরে এসেছেন। তবে, হামবুর্গের মেয়র হিসাবে। ২০১২ সালে। ১০ বছর পর তিনি এলেন দেশের চ্যান্সেলর হয়ে। জার্মানির চ্যান্সেলর (German Chancellor) হওয়ার পর এই প্রথম ভারত সফরে এলেন ওলাফ স্কোলজ (Olaf Scholz)। আজ, শনিবার থেকেই তাঁর দুই দিনের ভারত সফর শুরু হল। এই সফরে ইউক্রেন সঙ্কট (Ukraine Crisis), ভারত-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের (China) কার্যকলাপ, ব্যবসা-বাণিজ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার মতো বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
আজ ভারতে পা রেখে নিউদিল্লির রাজঘাটে যান জার্মানির চ্যান্সেলর। সেখানে মহাত্মা গাঁধীর (Mahatma Gandhi) সমাধিস্থলে ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রাজধানীর হায়দরাবাদ হাউসে দেখা করেন স্কোলজ। উভয় দেশের রাষ্ট্রনেতাই এবার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মিটিংয়ে হাজির ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল-সহ অন্যান্যরা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "একই ধরনের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও পারস্পরিক আগ্রহের বিষয়ে সমঝোতার কারণে, ভারত ও জার্মানির মধ্যে মজবুত সম্পর্ক রয়েছে। উভয় দেশের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বিনিময়ের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।"
পারস্পরিক বৈঠক শেষে জার্মানির চ্যান্সেলর ও প্রধামন্ত্রী মোদি সাংবাদিক বৈঠক করেন। উভয় দেশের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বিনিময়ের দীর্ঘ ইতিহাসের কথা তখনই উল্লেখ করেন মোদি । জার্মানির চ্যান্সেলর সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "বিশাল বৃদ্ধি হয়েছে ভারতের। অনেক কিছু ঘটেছে। যা উভয় দেশের সম্পর্কের পক্ষে ভাল। রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে গোটা বিশ্বে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও সফ্টওয়্যারে উন্নতির জেরে ভারতের বিশাল বিকাশ হয়েছে। "
তিনি আরও বলেন, "আমাদের প্রতিভার প্রয়োজন। দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও সফ্টওয়্যারে উন্নতি ভারতের বিকাশ লাভে সহায়ক হয়েছে। ভারতে এখন অনেক যোগ্য সংস্থা রয়েছে। ভারতে অনেক প্রতিভা আছে। পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে আমরা তা থেকে উপকৃত হতে চাই।" তিনি জানান, জার্মানির প্রায় ১৮০০ কোম্পানি ভারতে সক্রিয়। হাজার হাজার চাকরি দিয়েছে। আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করছি। বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছি।
মোদি বলেন, "গত কয়েক বছরে উভয় দেশের মানুষের একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কের বিশাল উন্নতি হয়েছে। 'মেক ইন ইন্ডিয়া' ও 'আত্মনির্ভর ভারত' স্লোগানের জেরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন নতুন সুযোগ খুলছে। এইসব ক্ষেত্রে জার্মানির আগ্রহ নিয়ে আমরা উৎসাহিত।"