কিভ: অ্য়ান্তোনভ এএন-২২৫ (antonov AN 225) বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান। তবে এখন আর নেই। ইউক্রেনের এই বিমানটি ধ্বংস হয়েছে রাশিয়ার সেনার হাতে। কিভের (kiev) কাছে গস্তোমল এলাকায় অ্যান্তোনভ (antonov) বিমানবন্দরে ছিল এই বিমানটি। রাশিয়ার হামলায় ধ্বংস হয়েছে সেটি। জানানো হয়েছে ইউক্রেনের তরফেই। 


এই বিমানটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ইউক্রেনের আবেগও। সেদেশে বিমানটিকে একটি নাম দেওয়া হয়েছিল। ম্রিয়া (mriya)। ইউক্রেনের ভাষায় এর অর্থ স্বপ্ন। ইউক্রেনের তরফে জানানো হয়েছে, বিমানটির যা অবস্থা হয়েছে তাতে সেটিকে নতুন করে তৈরি করতে বিপুল পরিমাণ খরচ হবে। যার পরিমাণ অন্তত ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সময়ও লাগবে পাঁচ বছরেরও বেশি। যদিও যুদ্ধের শেষে সেটি করা হবেই। এমনটাই দাবি করা হয়েছে ইউক্রেনের বিমান ও প্রতিরক্ষা সংস্থা ইউক্রোবোরনপ্রমের (Ukroboronprom) তরফে। একই কথা বলেছেন ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা (Dmytro Kuleba)। 


 





AN-225-এর খুঁটিনাটি


১. AN-225 একটি বৃহৎ আকারের বিমান। আশির দশকে সোভিয়েতের মহাকাশ অভিযান সংক্রান্ত কাজে এটি তৈরি করা হয়েছিল। 


২. মহাকাশ অভিযানের কাজে ব্যবহৃত নানা ধরনের যন্ত্রপাতি পরিবহনের কাজে এটি ব্যবহৃত হত।


৩. সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের পর দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল এর উড়ান। ২০০১ সালে ইউক্রেনের গতসোমলে একটি পরীক্ষামূলক উড়ান হয় এটির।


৪. কিয়েভের বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্য়ান্তোনভ এই বিমানের ডিজাইন করেছিল। তারা একটিমাত্র বিমানই তৈরি করেছিল।


৫. এই বিমান অত্যন্ত ভারী মালপত্র পরিবহন করতে পারে। এর ডানার দৈর্ঘ্য ২৯০ ফুট। লম্বায় এর দৈর্ঘ্য ৮৪ মিটার। সংস্থার দাবি, এই বিমান ঘণ্টায় ৮০০ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারে। 


৬. উড়ানের ইতিহাসে একাধিক রেকর্ড রয়েছে এই বিমানের। ২০১০ সালে চিন থেকে ডেনমার্কে বিপুল ওজনের মাল নিয়ে সফল উড়ান করেছিল এই বিমান।  


৭. কোভিডের সময়েও নানা কারণে ব্যবহার হয়েছিল বিমানটি।


আরও পড়ুন: 'এম্পায়ার অফ লাই', নজিরবিহীন আক্রমণ পুতিনের