গাজিয়াবাদ: যোগীরাজ্যে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিকের মৃত্যু। সোমবার রাতে গাজিয়াবাদের বিজয়নগরে বাড়ির কাছেই মোটরবাইক থামিয়ে, দুই মেয়ের সামনে সাংবাদিক বিক্রম যোশীকে প্রথমে মারধর ও পরে মাথায় গুলি করে দুষ্কৃতীরা। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সাংবাদিকের উপর হামলার ছবি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করার পর, বুধবার ভোরে সাংবাদিক বিক্রম যোশীর মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি, ভাইঝিকে উত্যক্ত করার অভিযোগে সম্প্রতি কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান ওই সাংবাদিক। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করায়, তারাই বদলা নেওয়ার জন্য হামলা চালায়। সাংবাদিক খুনের ঘটনা ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


সাংবাদিকের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে, তিনি বিজেপি-শাসিত যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতিকে তুলোধনা করেছেন। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, দেশে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। কণ্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে। যোগীরাজ্যে সাংবাদিককে গুলি করে খুনের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রীর ট্যুইট, সাহসী সাংবাদিক বিক্রম যোশীর মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর পরিবারকে আন্তরিক সমবেদনা জানাই। ভাইঝিকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ জানিয়ে এফআইআর করেছিলেন ওই সাংবাদিক। সেই কারণেই তাঁকে গুলি করে মারা হয়। দেশে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। কণ্ঠরোধের চেষ্টা চলছে।






এই ঘটনার প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীও। তিনি বলেন, ছিল রাম রাজ্যের প্রতিশ্রুতি, মিলেছে গুন্ডারাজ। উত্তরপ্রদেশে সাংবাদিক প্রকাশ্যে গুলি করে খুনের ঘটনায় বিজেপিকে নিশানা রাহুলের। কংগ্রেস সাংসদের ট্যুইট, ভাইঝিকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায়, সাংবাদিক বিক্রম যোশীকে খুন হতে হল।তাঁর শোকগ্রস্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাই। ছিল রাম রাজ্যের প্রতিশ্রুতি, কায়েম হয়েছে গুন্ডারাজ।






ট্যুইট করেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও। লেখেন, উত্তরপ্রদেশে সাংবাদিককে প্রকাশ্যে গুলি করে খুনের ঘটনায় এবার সরব প্রিয়ঙ্কাও। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের ট্যুইট, উত্তরপ্রদেশে জঙ্গলরাজ এতটাই কায়েম হয়েছে যে, দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালে, সাধারণ মানুষকে ভয় পেতে হয়।পূর্ববর্তী সরকারের মতোই উত্তরপ্রদেশে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজেপি সরকারও ব্যর্থ।