সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: এক তরুণীকে অপহরণের অভিযোগ এবং তারপর তাঁকে পুলিশের আদালতে পেশের সময় তুলকালাম বেঁধে গেল উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর আদালত চত্বরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশকে বেধড়ক লাঠিচার্জ করতে হল। এই ঘটনায় আহত হন ওই তরুণীর পরিবারের বেশ কয়েকজন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীও।
ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার শচীন মক্কার জানান, অপহৃত তরুণীকে আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে ওই তরুণী জানান যে, তিনি তাঁর শ্বশুর বাড়িতেই থাকতে চান।এরপর ওই তরুণীকে আদালতের বাইরে নিয়ে এলে পুলিশের কাছ থেকে তাঁকে পরিবারের লোকেরা ছিনিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এই ঘটনা ঘিরেই গন্ডগোল বাধে। পুলিশ লাঠি চালিয়ে তাঁদের সেখান থেকে হটিয়ে দেয়।
জানা গেছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ইসলামপুর থানার সামসেরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা প্রিয়ঙ্কা সিংহ ব্যাঙ্কে আসার নাম করে বাড়ি থেকে বের হন। তার পর প্রিয়ঙ্কার খোঁজ মেলেনি। প্রিয়ঙ্কার পরিবার জানতে পারে, প্রতিবেশী যুবক শুভ সিংহ তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে। পুলিশের কাছে বাড়ির লোকজনের পক্ষ থেকে অপহরণের মামলা দায়ের হওয়ার পর প্রিয়াঙ্কাকে উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার প্রিয়ঙ্কাকে আদালতে পেশ করতে নিয়ে যায় ইসলামপুর থানার পুলিশ।
যদিও তরুণীর বাড়ির অভিযোগ, তাঁদের মেয়ে তাঁদের বাড়িতেই থাকতে চেয়েছিলেন। পুলিশ জোর করে তাঁদেরকে মারধর করে তরুণীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীর পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাঁদেরকে ইসুলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।