নয়াদিল্লি: এককালের শরিক। এখন সাপে-নেউলে সম্পর্ক বিজেপি, শিবসেনার। উঠতে বসতে বিজেপিকে খোঁচা দিচ্ছে শিবসেনা। ইতিমধ্যে বিহারে নির্বাচনে প্রায় ৫০টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থীও দিচ্ছে তারা। গতকাল বিহারে বিধানসভা ভোটের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করে বাজারে এলেই বিনা পয়সায় রাজ্যের সব নাগরিককে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ভ্যাকসিনের টিকা দেওয়া হবে বলে বিজেপি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাকে বিদ্রুপ করে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর চিরস্মরণীয় উক্তি ধার করে বলেন, একসময় শুনতাম আমায় রক্ত দাও, স্বাধীনতা এনে দেব, আর এখন শুনছি আমায় ভোট দাও, তোমাদের ভ্যাকসিন দেব! যারা বিজেপিকে ভোট দেবে, একমাত্র তারাই ভ্যাকসিন পাবে। এটাই বিজেপির বৈষম্যমূলক চরিত্র তুলে ধরছে।


গতকাল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বিজেপির ইস্তাহার ঘোষণা করে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিনের প্রতিশ্রুতি দিতেই তীব্র রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। বর্তমানে একাধিক ভ্যাকসিনের গবেষণা চলছে পুরোদমে। শেষ পর্যন্ত কোনটি কার্যকারিতার মাপকাঠিতে যোগ্য প্রমাণিত হবে, তা সময়ই বলবে। কিন্তু ভ্যাকসিন আসার আগেই তা বিলির প্রতিশ্রুতি ঘিরে বিতর্ক চলছে। বিজেপির ঘোষণা মাত্রই তামিলনাড়ু ও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরাও বিনামূল্যে নিজ নিজ রাজ্যের বাসিন্দাদের ভ্যাকসিন বিলির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। রাহুল গাঁধী কটাক্ষ করেছেন, ভারত সরকারের অবশ্যই কোভিড ভ্যাকসিন কীভাবে বিলি হবে, তার কৌশল ঘোষণা করা উচিত। কখন আপনি সেটা পাবেন, সেটা জানতে চাইলে দয়া করে রাজ্য়ওয়াড়ি নির্বাচনী নির্ঘন্টটা দেখে নিনি, তার সঙ্গে একঝুড়ি মিথ্যা প্রতিশ্রুতিও পাবেন।
তবে ভ্যাকসিন বিলির প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় মডেল নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে কিনা, জানতে চাওয়া হলে ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, এটাকে সেভাবে নাও দেখা যেতে পারে। ১৯৫১-র জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৩ (২) ধারায় কোনও জনস্বার্থ বিষয়ক নীতি ঘোষণা বা কোনও নির্বাচনী অধিকারে হস্তক্ষেপ না করার উদ্দেশ্য নিয়ে আইনি অধিকারের প্রয়োগকে এই ধারার সংজ্ঞা অনুসারে হস্তক্ষেপ বলে ধরা নাও যেতে পারে।