নয়াদিল্লি: প্রায় এক বছর ধরে সারা বিশ্বকেই চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই বেরিয়েছে। টিকাদানের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে এখনও অনেকটাই সময় লাগবে। এরইমধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে উঠে আসছে বিভিন্ন তথ্য। নতুন একটি গবেষণা অনুসারে, যাঁরা চশমা পরেন, তাঁদের এই ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা তিন গুণ কম। 



বিজ্ঞানীদের দাবি, চশণা থেকে যে সুরক্ষা পাওয়া যায়, তা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে 'পরিসংখ্যানগতভাব তাৎপর্যপূর্ণ'। 



ভারতে প্রকাশিত এই গবেষণায় গবেষকরা দাবি করেছেন, দরিদ্র ও নিরক্ষরদের ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। গবেষণায় বলা হয়েছে, এর কারণ ওই শ্রেণীর মানুষরা প্রতিরোধমূলক নির্দেশিকা সঠিকভাবে পালন করেন না। আর শিক্ষিতদের তুলনায় তাঁদের চশমা পরার অভ্যেসও কম। 



গবেষণায় উঠে আসা তথ্যের রূপরেখা জানিয়ে অমিত কুমার সাক্সেনা বলেছেন, যাঁরা চশমা পরেন না, তাঁদের তুলনায় যাঁরা চশমা পরেন, তাঁদের সংক্রমণের আশঙ্কা দুই থেকে তিন গুণ কম। সারা দিনের একটা বড় সময় পরে থাকলে চশমার যে সুরক্ষামূলক ভূমিকা 'পরিসংখ্যাণগত দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ'। চোখে হাত দেওয়া বা চোখ কচলানো সংক্রমণের একটা বড় কারণ।
গবেষকরা বলেছেন, লোকজন সারা দিনে নিজের মুখ গড়ে ২৩ বার স্পর্শ করেন। আর চোখে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে তিন বার হাত দেন। 
রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুখ, নাক, চোখে স্পর্শের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ ঘটে থাকে। মাস্ক পরে থাকলে হাত দিয়ে নাক ও মুখ স্পর্শ করা অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু মাস্ক পরলে তা চোখকে আড়াল করতে পারে না। 
৩০৪ জন কোভিড আক্রান্তকে নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়। এক্ষেত্রে প্রশ্ন তালিকার মাধ্যমে তাঁদের চশমা ব্যবহারের ধরন নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। আর এই পর্যালোচনার সঙ্গে সাধারণদের ওপর গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়। 
গবেষণায় বলা হয়েছে, সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে স্বাস্থ্যকর্মীদের সংক্রমণ থেকে তাঁদের চোখ সুরক্ষিত রাখতে ফেসশিল্ড ও গগলস পরা দরকার। এক্ষেত্রে গগলস যে সুরক্ষা দেয়, তা চশমা দিতে পারে না বলে জানিয়েও বিজ্ঞানীরা বলেছেন, চশমা পরলেও  বেশ কিছুটা সুরক্ষা মেলে।