জমা করে রাখা ১০০ কিলো গোবর রাতারাতি উধাও হয়ে যাওয়ার পর পরই লাল্লা রাম এবং সেম লাল নামে দুই ভাই গো-পালকদের সংগঠন গোঠান সমিতিতে গিয়ে অভিযোগ জানান। সরকারকে গোবর বিক্রি করে কিছু টাকা পাবেন এই আশায়ই তাঁরা গোবর একত্রিত করে জমা করেছিলেন এক জায়গায়। পুরোটাই সাফ!এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সমিতির কর্তারা গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি, তাঁরা ঘটনাটি নিয়ে পুলিশে ডায়েরি করে এসেছেন।
রাজ্য সরকার সম্প্রতি ৪৬ হাজার জন গো-পালকের অ্যাকাউন্টে মোট ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা সাহায্য হিসেবে পাঠিয়েছেন নয়া প্রকল্পের আওতায়। সম্প্রতি পরিবেশ-বান্ধব নানা প্রকল্পের জন্য গোবরের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। রাখি, প্রদীপ, মূর্তি ইত্যাদি নানা কিছু তৈরিতে গোবরের প্রযোজনীয়তা তুলে ধরা হয়। আর সেইসঙ্গেই ঘোষণা করা হয় যে ২ টাকা কিলো-প্রতি দরে গোবর কিনে নেওয়া হবে।কিন্তু সাম্প্রতিক এই চুরির ঘটনা গ্রামের মানুষকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন কোরিয়া জেলার জনসংযোগ আধিকারিক সঙ্গীতা লাকড়া। তাই চুরি ঠেকানো নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছে।