নয়াদিল্লি:  ভারতে ৩৫০০ লোন অ্যাপকে নিষিদ্ধ করল গুগল (Google banned over 3500 Loan apps)। মূলত প্লে স্টোরের নীতি লঙ্ঘনের জেরে, এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে গুগলের তরফে।


গুগলের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতে ৩৫০০ এরও বেশি সংখ্যায় লোন অ্যাপগুলি প্লে স্টোরের নীতি লঙ্ঘন করেছে। যার জেরে এই অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ করল এবার গুগল। প্রসঙ্গত, বাইশের সেপ্টেম্বরে স্মার্টফোনের অ্যাপ স্টোরে অবৈধ লোন অ্যাপ নিয়ে কড়া হয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া।  ভুয়ো অ্য়াপগুলিতে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছিল দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক।


সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ভুয়ো লোন অ্য়াপগুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। ওই ভুয়ো লোন অ্য়াপগুলি কম আর্থিক সঙ্গতি সম্পন্ন ব্যক্তিদের লোন অফার করে। এরপর সেই টাকা আদায়ের জন্য ব্ল্যাকমেলিং করতেও পিছপা হয় না বলে অভিযোগ। অর্থমন্ত্রী এই অ্যাপগুলির মাধ্যমে, আর্থিক তছরূপের পাশাপাশি কর ফাঁকি, ডেটা চুরির মতো বিষয় নিয়ে সেবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।


গুগল প্লে স্টোরের অ্যাপে ম্যালওয়্যার পাওয়া গেছে। এই অ্যাপগুলির সংখ্যা ৬০ এর কাছাকাছি। বলা হচ্ছে,  অ্যাপগুলি প্রায় ১০০ মিলিয়ন বার ডাউনলোড হয়েছে।ম্য়াকাফির গবেষকরা বলেছেন, Google Play স্টোরে 'Goldoson' নামে একটি নতুন অ্যান্ড্রয়েড ম্যালওয়্যার পাওয়া গেছে, যা মোট ১০০ মিলিয়ন বার ডাউনলোড সহ ৬০টি অ্যাপে পাওয়া গেছে। এই সংখ্যা সত্যিই বিস্ময়কর। ম্যাকাফির গবেষণা দল এই ম্যালওয়্যারটি আবিষ্কার করেছে। এই ম্যালওয়্যারটি মানুষের সংবেদনশীল ডেটা সংগ্রহ করতে সক্ষম, যার মধ্যে রয়েছে ব্যবহারকারীদের ইনস্টল করা অ্যাপ, ওয়াইফাই ও ব্লুটুথ যুক্ত ডিভাইস ও জিপিএস তথ্য।


 
ব্লিপিং কম্পিউটারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ম্যালওয়্যার উপাদানটি একটি তৃতীয় পক্ষের লাইব্রেরির সাথে লিঙ্ক করা হয়েছে যা ডেভেলপাররা অসাবধানতাবশত ৬০টি অ্যাপে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এখন এই অ্যাপগুলো প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে ও লাখ লাখ মানুষ সেগুলো ডাউনলোড করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ম্যালওয়্যার ব্যবহারকারীদের অনুমতি ছাড়াই ব্যাকগ্রাউন্ডে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে প্রতারণা করতে পারে।


আরও পড়ুন, তাজা নাকি ফ্রিজের সবজি ? কোনটা উপকারী ?


আরও পড়ুন, আম খেলে ওজন বাড়ে কি ? কী দাবি বিশেষজ্ঞদের ?


ভারতে ক্রমশ বাড়ছে সাইবার ক্রাইম (Cyber Crime)। বিশেষ করে মহিলারা শিকার হচ্ছে সাইবার হ্যারাসমেন্টের (Cyber Harassment)। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যা তৈরি হয় সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) বিভিন্ন মাধ্যমে। এই সাইবার ক্রাইমের ফাঁদে পা না দিয়ে নিজেকে সুরক্ষিত এবং নিরাপদে রাখার জন্য রয়েছে টেক-টুল। মূলত সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণার শিকার হন মহিলারা। সেই সঙ্গে শুরু হয় ব্ল্যাকমেল এবং মহিলাদের সম্মানহানির চেষ্টা। এই গোটা বিষয়টাই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব প্রযুক্তির সাহায্যে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমে মহিলাদের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করবে এইসব টেক-টুল। Anti - Spyware Software, Malware Removal, Caller Identification App, Security Analytics Platform ছাড়াও Encrypted File Transfer সাইবার হানা থেকে অনেকটাই রক্ষা করে।