ইসলামাবাদ: পাকিস্তান সরকার প্রশাসনকে অনলাইনে প্রকাশিত জিনিসপত্রের ওপর সেন্সর বসানোর অধিকার দিয়েছে। এর ফলে ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি সংস্থাগুলি হুমকি দিয়েছে, পাকিস্তান থেকে চলে যাবে তারা। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, কট্টরপন্থী এই ইসলামিক রাষ্ট্র মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করতেই এই পদক্ষেপ করেছে।

এই মহাদেশে গুগল, ফেসবুক, টুইটারের মত আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে এশিয়া ইন্টারনেট কোয়ালিশন। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সরকারি মিডিয়া রেগুলেশন সংস্থাগুলির ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। ইন্টারনেট কোয়ালিশন বলেছে, পাকিস্তান যেভাবে নতুন আইন এনে ইন্টারনেট সংস্থাগুলিকে টার্গেট করেছে এবং যে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নয়া আইন তৈরি হয়েছে, তাতে তারা আশঙ্কিত।

নতুন আইনে বলা হয়েছে, ইসলামের পক্ষে আপত্তিকর কিছু সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হলে ওই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা বা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের ওপর ৩.১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত জরিমানা বসতে পারে। এছাড়া সন্ত্রাসবাদ, ঘৃণা ছড়ানো বক্তব্য, পর্নোগ্রাফি ও জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক কোনও কিছু প্রচারের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা। দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্তকারী সংস্থা চাইলেই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে যে কোনও তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে হবে। পাশাপাশি তাদের অফিসও খুলতে হবে পাকিস্তানে।

ইন্টারনেট কোয়ালিশন বলেছে, এই রাক্ষুসে আইন মুক্তভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারে মানুষের যে অধিকার, তা ভীষণভাবে খর্ব করবে। গোটা বিশ্বের সামনে বন্ধ হয়ে যাবে পাকিস্তানের ডিজিটাল ইকোনমি। এই আইন কার্যকর হলে পাকিস্তানি ইউজার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকে তাদের পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।

ইমরান খান সরকার এ নিয়ে এখও কোনও মন্তব্য করেনি, তবে তারা বারবার দাবি করেছে, তারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিরোধী নয়।