নয়াদিল্লি: ট্যুইটার সিইও জ্যাক ডোরসিকে কড়া ভাষায় চিঠি দিয়ে ভারতের মানচিত্রের বিকৃত ছবি দেখানোর তীব্র নিন্দা করল ভারত। কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব অজয় সওনি ডোরসিকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব, সংহতির অমর্যাদা করার যে কোনও প্রয়াস একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়, মেনে নেওয়া যায় না। ভারতীয় মানচিত্রকে ভুল ভাবে উপস্থাপনার প্রবল বিরোধিতা করে সওনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এধরনের প্রয়াসে শুধুমাত্র ট্য়ুইটারের বদনামই হচ্ছে না, সামাজিক মঞ্চ হিসাবে তাদের নিরপেক্ষতা, ন্য়য়পরায়ণতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক সূত্রের খবর, ভারত যে দেশের মানচিত্রের ভুল প্রদর্শন সহজ ভাবে নিচ্ছে না, সেটা ট্যুইটারকে বুঝিয়ে দিয়েছেন সওনি।
ট্যুইটার এর আগে জম্মু ও কাশ্মীরের লে-র ভৌগলিক অবস্থান চিনে দেখিয়েছিল। সওনি ডোরসিকে পাঠানো চিঠিতে মনে করিয়ে দিয়েছেন, লে কিন্তু কেন্দ্রশাসিত এলাকা লাদাখের সদর এবং লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর-দুটিই ভারতবর্ষের সংবিধান পরিচালিত ভারতের অবিচ্ছেদ্য, অবিচ্ছিন্ন অংশ।
সরকার ট্যুইটার কর্তৃপক্ষকে ভারতীয় নাগরিকদের সংবেদনশীলতাকে সম্মান জানাতে বলেছে, এটাও স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে যে, ভারতের সার্বভৌমত্ব ও সংহতির প্রতি অমর্যাদা, যা মানচিত্রেও প্রতিফলিত হয়েছে, সম্পূর্ণ বেআইনি, মেনে নেওয়া অসম্ভব।
যখন চিনের সঙ্গে পূর্ব লাদাখ নিয়ে ভারতের সংঘাত চলছে, সেখানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) দুদেশের সেনাবাহিনী রণংদেহী মেজাজে মুখোমুখি হয়েছিল সম্প্রতি, তখনই লাদাখের অবস্থান চিনে দেখানোর অভিযোগ উঠেছে ট্যুইটারের বিরুদ্ধে। লাদাখে গত মে মাস থেকে উত্তেজনা বহাল ছিল, তা চরমে ওঠে জুনে যখন ২০জন ভারতীয় সেনা জওয়ান গালওয়ান উপত্য়কায় চিনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন। দুদেশের মধ্যে সংঘাত প্রশমনে সামরিক, কূটনৈতিক স্তরে দফায় দফায় বৈঠক হলেও চিন স্থিতাবস্থা ফেরানোর ব্যাপারে স্বাক্ষরিত বোঝাপড়া মেনে চলতে রাজি নয়।
গত বছর ৫ আগস্ট লাদাখকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে আলাদা করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বীকৃতি দেয় কেন্দ্র। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বিলোপ করে তার বিভাজন ঘটানো হয়।