নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস সংক্রমণ আতঙ্কের মধ্যে কেন্দ্র সাবান, মেঝে পরিষ্কার করার ফ্লোর ক্লিনার, থার্মাল স্ক্যানারের দামের দিকে কড়া নজর রাখছে। জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। এইসব পণ্যের চাহিদা বাড়ছে ক্রমশ। ২২টি নিত্যপ্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দামে গতিবিধির দিকে সাধারণত নজরদারি চালায় কেন্দ্রীয় ভোগ্যপণ্য সংক্রান্ত মন্ত্রক। সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়ানোর জন্য দরকারি দুটি জিনিস হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মুখ ঢাকার মাস্কের কালোবাজারি, কৃত্রিম সঙ্কট তৈরির অভিযোগ ওঠায় সেগুলিকেও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকায় আনা হয়েছে। এগুলি মজুত, বেশি দামে বিক্রির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কেন্দ্র।
পাসোয়ান বলেন, সাবান, ফ্লোর ক্লিনার, লাইজল, ডেটলের মতো হাত পরিষ্কার করার জিনিস, থার্মাল স্ক্যানারের চাহিদা বাড়ছে করোনাভাইরাস আতঙ্কের জেরে। সেগুলির দামের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
দেশব্যাপী ১১৪টি কেন্দ্র থেকে নজরদারি চলবে।
দাম গত ৬ মাসের দামের স্তর ছাড়িয়ে গেলে এগুলিকেও অত্যাবশ্যক সামগ্রীর আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
২২টি অতি জরুরি পণ্যের মধ্যে আছে চাল, গম, আটা, নানা রকমের ডাল, ভোজ্য তেল, আলু, পেঁয়াজ, টম্যাটোর মতো সবজি, চিনি, গুড়, দুধ, চা, নুন।
পাসোয়ান অবশ্য আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বলে ভরসা দিয়েছেন। তবে বলেছেন, নিজেদের বাঁচাতে আগাম সুরক্ষামূলক পদক্ষেপগুলি নিতে হবে। শাস্ত্রী ভবনে নিজের মন্ত্রকে ঢোকা, বেরনোর দরজায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার বসিয়েছেন তিনি। দর্শনার্থীদের থার্মাল স্ক্যানিংও চলছে।