নাফিসা সংবাদ সংস্থাকে বলেন, লকডাউন চালু হওয়ার পর প্রথম সপ্তাহটা এখানে খুব কষ্ট হয়েছিল। অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। না জল, শাকসব্জি, রেশন- কিছুই পাওয়া যাচ্ছিল না। রাস্তায় পুলিশি টহল থাকায় কোথাও যে খুঁজতে বেরবেন, তার উপায় নেই। বাইরে বেরনোর চেষ্টা করলেই পুলিশের মার! তবে এখন কিছু শাকসব্জির বাজার-দোকান খুলেছে। কিন্তু আমার ওষুধপত্র প্রায় শেষ। ক্য়ান্সার ট্রিটমেন্টের কিছু ওষুধ খেতে হয় যেগুলি গোয়ার কোথাও মেলে না। সব ওষুধ দিল্লিতে পড়ে আছে, বিমান-ক্যুরিয়ার সার্ভিস বন্ধ থাকায় সেখান থেকে পাঠানো যাচ্ছে না। তাই পুরোপুরি শেষ হলে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। কী করব? বুঝতে পারছি, পরিস্থিতি এমন যে চাইলেও কেউ সাহায্য করতে পারবেন না।
যদিও নাফিসার দুরবস্থার কথা সংবাদ মাধ্য়ম থেকে জানার পর গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে তাঁকে সাহায্য পাঠাতে লোকজন পাঠানো হয়। তারা ট্যুইট করে, স্থানীয় পরিস্থিতি দেখভাল করার ভারপ্রাপ্ত কম্যান্ডার ওনার সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর বন্দোবস্ত করেছে। নাফিসার সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই সাহায্য নিয়ে যাওয়া লোকজনের সঙ্গে কথা বলার ছবিও পোস্ট করেছে মুখ্যমন্ত্রীর অফিস।