কার্শিয়ং : রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে কালো পতাকা। উত্তরবঙ্গে সফররত রাজ্যপালকে প্রথমে মাটিগাড়ায় এবং পরে কার্শিয়ং স্টেশনের কাছে কালো পতাকা দেখানো হয়। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখানো হয়েছে।
তাদের বক্তব্য, পাহাড়ে শান্তির পরিবেশ রয়েছে। পরিবেশ অশান্ত করার জন্য রাজ্যপাল পাহাড়ে এসেছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের অভিযোগ। সেই কারণে তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত অব্যাহত। দিল্লি থেকে ফেরার পর আজ উত্তরবঙ্গে সফরে যান রাজ্যপাল। বাগডোগরা পৌঁছে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর এত ভয়ানক ভোট পরবর্তী হিংসা, এমন বর্বরতা, এত আতঙ্ক কখনও দেখিনি। প্রজাতন্ত্রে সব থেকে জরুরি বিষয়- উন্নতি, জনকল্যাণ, মানুষের মনে যেন আতঙ্ক না থাকে। কিন্তু, এখন এত আতঙ্ক যে, আতঙ্কে আতঙ্ক নিয়ে চর্চা শুধু করতে পারছেন না মানুষ। সরকারকে বলছি, ৭ সপ্তাহেও এনিয়ে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না। মুখ্যমন্ত্রী কেন চুপ রয়েছেন? কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। কী করে সরকার চোখ ফিরিয়ে নিতে পারে ? কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি, খোঁজ করা হয়নি-এটা ভাল সংকেত নয়। রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন, এনিয়ে আত্ম-বিশ্লেষণ করুন।
উল্লেখ্য, সাতদিন উত্তরবঙ্গে থাকবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। উত্তরবঙ্গে এর আগেও তিনি ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয় পর্যবেক্ষণে গিয়েছিলেন। এবার দার্জিলিংয়ে থাকাকালীন বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। এখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
এদিকে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের মামলায় আজই আদালতে অস্বস্তির মুখে পড়েছে রাজ্য। ১৮ জুন কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি বিশেষ কমিটি গঠন করবে। তারা এরাজ্যে এসে গোটা প্রক্রিয়াটা অনুসন্ধান করে দেখে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করবে। সেই নির্দেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে রাজ্যের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে এই পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদন আজ খারিজ হয়ে যায় হাইকোর্টে।