নয়া দিল্লি: মহাত্মা গাঁধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা যোজনা বা মনরেগার বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে ৯৩৫ কোটি টাকার আর্থিক অপব্যবহার হয়েছে গত চার বছরে এমনটাই জানতে পারা গিয়েছে। পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রকের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) থেকে এ তথ্য জানতে পেরে প্রকাশ করেছে এক জাতীয় সংবাদমাধ্যম। বিপুল সংখ্যক অর্থের মাত্র ১২.৫ কোটি অর্থাৎ ১.৩৪ শতাংশ বেঁচে রয়েছে। বাকি অর্থের হদিশ নেই।  


যদিও মনরেগার ওয়েবসাইট থেকে সব তথ্য পাওয়া যায়নি। ঘন ঘন সেখানে 'নেটওয়ার্ক সমস্যা' থাকায় তা অ্যাক্সেস করা যায়নি বলেই জানায় ওই সংবাদমাধ্যম। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষ থেকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষ পর্যন্ত তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সেখান থেকেই এ তথ্য জানা গিয়েছে। চার বছরে দেশের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ২.৬৫ লক্ষ গ্রামপঞ্চায়েতে এই সমীক্ষা চলেছে।


১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের বরাদ্দ করা হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। ২০১৭-১৮-তে ৫৫ হাজার ৬৫৯.৯৩ কোটি টাকা ছেড়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতি বছর বিপুল টাকা বরাদ্দ করা হয় এই খাতে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লক্ষ ১০ হাজার ৩৫৫৫.২৭ কোটি টাকা। সেখানে খরচ হয়েছে ন্যূনতম। 


সমীক্ষা থেকেই এই 'আর্থিক অপব্যয়ের' দিকটি প্রকাশ্যে এসেছে। কেন্দ্রীয় গ্রামীণ উন্নয়ন সচিব নগেন্দ্র নাথ সিনহা সম্প্রতি সমস্ত রাজ্যের মুখ্য সচিবদের কাছে একটি চিঠিতে এই বিষয়ে জোর দিয়েছিলেন এবং জিজ্ঞাসা করেছিলেন কেন রাজ্যের আরডিডিরা কেবল "সামান্য অর্থ" ব্যয় করেছে। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে যযে এই খাতে অনিময়ম হয়েছে। কে বা কারা জড়িত এই ঘটনা, তা দেখতে তদন্ত করা হবে বলে খবর। 


রাজ্যের ভিত্তিতে পরিসংখ্যান বিচার করলে দেখা যাচ্ছে সেখানে সবচেয়ে বেশি এই অর্থের অপব্যবহার হয়েছে। এরপর রয়েছে অন্ধপ্রদেশ, বিহার, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ। গত চার বছরে সারা দেশে দায়ের করা ৩৮টির মধ্যে ১৪টি ঝাড়খণ্ড থেকে করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি এফআইআর দায়ের করেছে সেই রাজ্য। দুই কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল এবং ৩১ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দেওয়া হয়েছিল।