নয়াদিল্লি: যত দ্রুত সম্ভব এমন করোনা টিকা আনতে হবে যা নিরাপদ ও কার্যকর হয়, দাম হয় সস্তা, দ্রুত পৌঁছে দেওযা যায় দেশবাসীর কাছে। এ জন্য এবার মিশন কোভিড সুরক্ষা নামে ৩,০০০ কোটি টাকার একটি ফান্ড তৈরির প্রস্তাব করল কেন্দ্র। বায়োটেকনোলজি বিভাগ জানিয়েছে, এই প্রস্তাবিত মিশন করোনা টিকার ক্লিনিক্যাল স্টেজ থেকে তার উৎপাদন সম্পর্কিত যাবতীয় খুঁটিনাটিতে নজর রাখবে।

এই মিশনের লক্ষ্য হল, অন্তত ৬টি করোনা টিকা উৎপাদন করা, সেগুলোর লাইসেন্সের ব্যবস্থা করা, জরুরি ভিত্তিতে যাতে ব্যবহার করা যায় তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাজারে নিয়ে আসা। এই প্রস্তাবিত মিশনের ব্যাপারে কেন্দ্র এখনও স্পষ্ট কিছু জানায়নি, তবে নানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন একটি প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এর বেশি কাজ এখনও এগোয়নি।

খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, এই মিশনের বাজেট হবে ৩,০০০ কোটির মত, সময়সীমা ১২-১৮ মাস। এদের কাজ হল, দেশে যথেষ্ট পরিমাণ করোনা টিকা তৈরি হচ্ছে কিনা দেখা, তারপর তা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক মারফত জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সংযুক্ত করা। তবে তার আগে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন ওই টিকাকে স্বীকৃতি দেবে। করোনা টিকা তৈরির জন্য দেশের নানা সংস্থা এখন কোমর বেঁধে নেমেছে। খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেখতে হবে, এই টিকা তৈরির প্রকল্প যাতে প্রজেক্ট মোডের বদলে মিশন মোডে থাকে। এখনও পর্যন্ত টিকা তৈরির কাজ খণ্ডিতভাবে হচ্ছে, তাই আগামী ১২ থেকে ১৫ মাসের মধ্যে টিকা সরবরাহের বিষয়টি মসৃণ করতে একটি মিশন তৈরি করা জরুরি। তাদের কাজ হবে, প্রি ক্লিনিক্যাল ডেভেলপমেন্ট থেকে গণহারে টিকা তৈরি, তা সকলের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পৌঁছে দেওয়া- এই পুরো প্রক্রিয়া মসৃণ করা।

খসড়া বলছে, এই জাতীয় মিশনের লক্ষ্য হবে আত্মনির্ভর ভারতে ফোকাস করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশবাসীর কাছে সস্তায় নিরাপদ টিকা পৌঁছে দেওয়া, শুধু দেশ নয়, গোটা বিশ্বকে করোনা রোগ মুক্ত করাকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে।

যতগুলি ভারতীয় সংস্থা টিকা তৈরির চেষ্টা করছে, প্রত্যেককে সাহায্য করবে এই মিশন। তারপর সবার আগে সফল টিকা তৈরি করা সংস্থাকে বেছে নেওয়া হবে। যাতে একাধিক টিকা নিয়ে হুড়োহুড়ি না হয় বা কাজে অস্বাভাবিক দেরি না হয় তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। একই সঙ্গে কোনওমতেই বোঝাপড়া করা চলবে না মানুষের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দিকটিতে।