নয়াদিল্লি: করোনায় উপার্জনশীল ব্যক্তির মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে পেনশনে দেবে বলে ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার এই ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।


উল্লেখ্য, কোভিডের ধাক্কা যে শিশুদের শৈশব কেড়ে নিয়েছে, তাদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনার জেরে যে শিশুরা তাদের দুই অভিভাবককেই হারিয়েছেন, পিএম কেয়ার্স তহবিল থেকে তাদের জন্য আর্থিক সাহায্য থেকে পড়াশোনার যাবতীয় খরচবহনের অঙ্গীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর পাশাপাশি এবার পেনশন প্রকল্পের ঘোষণাও করল কেন্দ্র। পাশাপাশি বিমার ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানা গিয়েছে।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, এই ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পরিবারের পাশে দাঁড়াবে সরকার। এইভাবে আর্থিক সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছে সরকার। যাতে সংশ্লিষ্ট পরিবার সসম্মানে যাতে বাঁচতে পারে তাই এমপ্লয়িজ স্টেট ইনসুরেন্স কর্পোরেশন তথা ইএসআইসি-র পেনশন প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হবে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বেতন বা মজুরির ৯০ শতাংশ হারে এই পেনশন মিলতে পারে। গত বছরের ২৪শে মার্চ থেকে ২০২২ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত করোনার জেরে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই মিলবে এই পেনশন। এর পাশাপাশি বিমার মূল্য ৬ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লাখ টাকা করা হয়েছে।


উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়, সেখানে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে ঠিক হয়, কোভিডের জেরে যে শিশুরা তাদের দুই অভিভাবককেই হারিয়েছে, তাদের ১৮ বছর বয়স হলে প্রত্যেককে মাসিক স্টাইপেন দেওয়া হবে। তারা ২৩ বছরে পৌঁছলে দেওয়া হবে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা। পিএম কেয়ার্স তহবিল থেকে এই অর্থ দেওয়ার পাশাপাশি এই সমস্ত শিশুদের পড়াশোনার খরচও কেন্দ্রের তরফে বহন করা হবে বলেই জানানো হয়েছে। তবে মাসিক স্টাইপেন ঠিক কত হবে তা জানানো হয়নি। পাশাপাশি বলা হয়েছে, উচ্চশিক্ষার জন্য এই সমস্ত শিশুরা স্বল্প সুদে শিক্ষাঋণ পাবে। সঙ্গে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিমাও বরাদ্দ করা হবে কোভিডে অভিভাবকহীন শিশুদের জন্য।