কলকাতা: বিধানসভা ভোটে বামেদের ভরাডুবির পর দলের শীর্ষনেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় তন্ময় ভট্টাচার্যকে ৩ মাসের জন্য সেন্সর করল সিপিএম। সিপিএম সূত্রে খবর, এই সিদ্ধান্তের পাশাপাশি, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যেরও সমালোচনা করা হয় রাজ্য কমিটির বৈঠকে।
সম্প্রতি এবিপি আনন্দর অনুষ্ঠানে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হন দমদম উত্তরের প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। পরে সরব হন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ও। ভোটের পর এদিনই প্রথম বৈঠকে বসে সিপিএমে রাজ্য কমিটি। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে রাজ্য কমিটির অধিকাংশ সদস্য প্রশ্ন তোলেন, হঠাৎ কেন আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট? এনিয়ে রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর দিকেই আঙুল তোলেন তাঁরা। পাশাপাশি সূত্রের খবর, রাজ্য কমিটির অধিকাংশ সদস্য বলেন, ভোটের প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে যেভাবে ব্যঙ্গ-বদ্রুপ করা হয়েছে, তা ভালভাবে নেননি ভোটাররা। জোট নিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, এখনই জোট থেকে আইএসএফ-কে বাদ দেওয়ার প্রশ্ন নেই।
গত ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়। তাতে দেখা যায় ধরাশায়ী পরিস্থিতি তিন দলের জোট সংযুক্ত মোর্চার। ঠিক কী বলেছিলেন দমদম উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক? ওইদিনই ‘ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন’ অনুষ্ঠানে তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, “যেসব নেতারা উপর থেকে নির্দেশ দেয়, এই বিপর্যয়ের দায় তাদের নিতে হবে। আমার দলের যেসব নেতারা বলেন, আমরা ভোটের রাজনীতি করি না। রাস্তায় থাকি, তাদের হাতে জনতা জনার্দন ফুটো বাটি ধরিয়ে দিয়েছে। দলের সিস্টেম উলঙ্গ হয়ে গেছে। আদ্যিকালের ভাবনা ছেড়ে আরও অনেক সংস্কার দলে আসা প্রয়োজন।''
দলের ব্যর্থতার জন্য রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তন্ময় ভট্টাচার্যর সরব হওয়ার পরই তাঁর পথেই হাঁটেন আর এক প্রবীণ নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যে বিজেপিকে রুখে দেওয়ার জন্য তৃণমূলকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। রায়দিঘির প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, “বস্তুনিষ্ঠ অনুসন্ধান দরকার। গোল গোল কথা বললে হবে না। দায় নিতে হবে নেতৃত্বকেই।’’