নয়া দিল্লি: শুক্রবার সরকার করোনভাইরাসের (Coronavirus) নয়া প্রজাতি ওমিক্রন (Omicron) নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করেছে। তবে প্রতিদিন যেভাবে দেশের একাধিক রাজ্য থেকে একের পর এক ওমিক্রন আক্রান্তের খবর সামনে আসছে তা নিয়ে চিন্তা মেঘ জমা হচ্ছে স্বাস্থ্যমহলে। NITI আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ডক্টর ভি কে পল একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রাবল্য কমতে শুরু করেছে। কিন্তু যেভাবে মাস্ক পরার অনীহা দেখা দিচ্ছে সেখানে ফের করোনার বিপদ সীমায় প্রবেশ করছে ভারত। এমনটাই আশঙ্কা। 


এদিকে, এবার কেরলেও প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান মিলল। ওই ব্যক্তি গত ৬ ডিসেম্বর ইংল্যান্ড থেকে কোচি ফিরেছিলেন। এনিয়ে দেশে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৮। আজ চণ্ডীগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র ও কেরলে একজন করে নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সন্ধান মেলে। এর মধ্যে চণ্ডীগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কেরলে প্রথম। ইতালি থেকে চণ্ডীগড়ে পৌঁছনো ২০ বছরের এক যুবকের শরীরে করোনার এই নয়া ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মেলে। জানা যায়, গত ২২ নভেম্বর ওই যুবক ভারতে আসেন। পরীক্ষায় তাঁর দেহে কোভিড ১৯ সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। তিনি এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশেও এক ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রন সংক্রমণ ধরা পড়ে। জানা যায়, ওই ব্যক্তি আয়ারল্যান্ড থেকে ভারতে এসেছিলেন।


আরও পড়ুন, সাবধান ! বেশি সংক্রামক, ভ্যাকসিনের কার্যকারিতাও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপর কম


চণ্ডীগড়ে যে তরুণ ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি ফাইজার ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। চণ্ডীগড়ের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ওই তরুণকে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর জিনোম সিক্যুয়েন্সিং করা হয়েছিল। রিপোর্টে ওমিক্রন পজিটিভ আসে।



দু-সপ্তাহে কলকাতায় (Kolkata) করোনা সংক্রমণের (Coronavirus) হার ৫ দশমিক তিন আট শতাংশ। কেন্দ্রের এই তথ্য নিয়েই তুঙ্গে তরজা। পর্যাপ্ত টেস্ট হচ্ছে না বলেই এই অবস্থা। মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের। কলকাতা ভাল অবস্থায় থাকলেও, তা অন্যভাবে দেখানো হচ্ছে। অভিযোগ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের (Trinamool Congress)। শনিবার রাজ্যকে পাঠানো কেন্দ্রের এই অ্যানেক্সার ঘিরে। যেখানে ১০টি রাজ্যের ২৭টি জেলার, করোনা সংক্রণের হার তুলে ধরা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কলকাতার নামও। কেন্দ্রের এই পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, গত ২ সপ্তাহে কলকাতায় করোনা টেস্ট হয়েছে ২৮ হাজার ৫৩৮ জনের। 


যদিও তৃণমূল সাংসদ ও সাধারণ সম্পাদক শান্তনু সেন বলেন, "মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি, আর তখন যদি মাসির সঙ্গে বৈমাতৃ সুলভ....যখন ২ পার্সেন্ট ছিল, তখন ভোট করিয়ে ৩০ শতাংশ বাড়িয়েছে, এখন যখন কলকাতা সেরা জায়গায়, তখন বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে..."।